এইদিন ওয়েবডেস্ক,মালদা,০৪ আগস্ট : মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ৬ তলা থেকে নিচে পরে মৃত্যু হল এক মানসিক প্রতিবন্ধী তরুনীর । পুলিশ জানিয়েছে,মৃতার নাম সাবেরা খাতুন(৩০) । তাঁর বাড়ি রতয়া থানার মাগুরা গ্রামে । বৃহস্পতিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতাল চত্বরে । তরুনীর এই মর্মান্তিক মৃত্যুর পর হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রোগীদের আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা । উল্লেখ্য, মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগটি রয়েছে ৬ তলাতে ।
মৃত যুবতীর দাদা মুকলেশুর রহমান জানিয়েছে, এদিন তিনি তাঁর মানসিক প্রতিবন্ধী বোনকে চিকিৎসার মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এনেছিলেন । হাসপাতালের বহির্বিভাগে তিনি লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন । কিছুটা পাশেই বসেছিল তাঁর বোন । কিন্তু একটু অন্যমনস্ক হতেই লক্ষ্য করেন বোন সেখানে নেই । তারপর খোঁজাখুঁজি করতেই নিচে নজর পড়ে যায় । দেখেন প্রচুর মানুষ এক মহিলার রক্তাক্ত দেহ ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে । পোশাক দেখে বুঝতে পারেন ওই মহিলা আর কেউ নয়,তাঁর বোন । তিনি বলেন, ‘৬ তলায় সিঁড়ির পাশে একটি গেট খোলা ছিল । সম্ভবত বমি করার জন্য ওই গেট দিয়েই বাইরে যেতেই দূর্ঘটনাটি ঘটে যায় ।’ কিন্তু হাসপাতালের ৬ তলায় বহির্বিভাগে গেট খোলা রাখা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মৃতার দাদা । তিনি বলেন, ‘যদি গেট বন্ধ রাখা হত আর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিকমত থাকতো তাহলে আমার বোনের এই মর্মান্তিক পরিনতি হত না ।’ এনিয়ে তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন । ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ।।