এইদিন ওয়েবডেস্ক,৩১ জুলাই : শ্রীলঙ্কায় নজিরবিহীন আর্থিক সঙ্কটের পর পাকিস্থানকে নিয়ে গুঞ্জন উঠছিল । দেশের বেহাল অর্থনীতিকে সামাল দিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে হাত পেতেছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ । এবার একই পথের পথিক হল বাংলাদেশও । দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার ক্রমাগত হ্রাসের কারনে আইএমএফ-এর কাছে ঋণের আবেদন পাঠিয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার । বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে বাংলাদেশ হল আইএমএফের দ্বারস্থ হওয়া দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে তৃতীয় দেশ ।
প্রসঙ্গত,বাংলাদেশের মোট অর্থনীতি প্রায় ৪১৫ বিলিয়ন ডলার । বিশ্বের দ্রুত উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্য হিসাবে বিবেচিত হয়েছে বাংলাদেশ । বিশেষ করে বাংলাদেশের টেক্সটাইল শিল্প ইউরোপ, আমেরিকা এবং লাতিন আমেরিকায় বড় বাজার তৈরি করতে সফল হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি ও খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশকে এসব পণ্য আমদানির জন্য বাড়তি মূল্য দিতে হচ্ছে । এদিকে রপ্তানি কমে যাওয়ায় বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার দ্রুত হারে কমতে শুরু করছে । তাই উদ্ভুত এই পরিস্থিতি সামাল দিতে আইএমএফের কাছে ৪.৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ ।
কিন্তু আইএমএফ-এর ঋণের শর্ত খুবই কঠোর হয় । ফলে পরবর্তী কালে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয় ঋণগ্রহীতা দেশগুলিকে । শ্রীলঙ্কার নজিরবিহীন আর্থিক সঙ্কটের পিছনে আইএমএফ ও চীনের ঋণকেই দায়ি করা হচ্ছে। যদিও বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী এএইচএম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘আইএমএফের শর্ত আমাদের অনুকূলে থাকলে এবং তারা যদি আমাদের উন্নয়ন নীতির সঙ্গে সমন্বয় দেখায়, তবেই আমরা সেখান থেকে ঋণ নেব । অন্যথায় আমরা ঋণ নেব না ।’
প্রসঙ্গত,করোনা মহামারির পর থেকে প্রায় ৯০ টি দেশ ঋণ পেতে আইএমএফের দ্বারস্থ হয়েছে । কিন্তু আইএমএফ তাদের মধ্যে মাত্র কয়েকজনকে ঋণ দিতে রাজি হয়েছে । এবার ঋণগ্রহীতা দেশের তালিকায় যুক্ত হল বাংলাদেশের নাম । আইএমএফ জানিয়েছে,তারা বাংলাদেশকে সহায়তা করতে প্রস্তুত । বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সাহায্যের পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে ।।