জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,গলসি(পূর্ব বর্ধমান),২৯ জুলাই : বর্ষাকাল মানেই বৃষ্টি। কৃষিকাজের জন্য মাঠে যাচ্ছে কৃষক। তারপর বজ্রপাতে মৃত্যু হচ্ছে এবং ‘লাশ’ হয়ে অপরের কাঁধে চেপে বাড়ি ফিরছে। গত কয়েক বছর ধরে এটাই যেন নিয়তি হয়ে উঠেছে গলসী এলাকায়। যেমন আজ শুক্রবার (২৯ জুলাই ২০২২) হলো ।
ক্যালেণ্ডার মেনে সঠিক সময়ে বর্ষাকাল শুরু হলেও গত দু’মাস ধরে পর্যাপ্ত বৃষ্টি নাই। এদিকে চাষের সময় চলে যাচ্ছে। সদ্য ছাড়া ডিভিসি ক্যানেলের জল ও সাবমার্সিবেলের জল কিনে যতটুকু সম্ভব ধান পুঁতেছেন গলসী-২ ব্লকের তাহেরপুর গ্রামের বাসিন্দা বংশী রুইদাস(৫৪) । দাদপুরের বামুনডোবা মাঠে রোপণ করা ধান গাছের তদারকি করতে মাঠে গিয়েছিলেন তিনি। ঘন অন্ধকার করে মেঘ ঘনিয়ে আসে। শুরু হয় টিপটাপ বৃষ্টি। সঙ্গে তার স্ত্রীও ছিলেন। বৃষ্টি শুরু হলে তিনি সরে আসেন। হঠাৎ বজ্রপাত। তাতেই সব শেষ। বজ্রপাতের আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বছর চুয়ান্নের বংশী রুইদাস।
খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে ছুটে যায় গ্রামবাসীরা। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় আদড়াহাটী ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালে। কিন্তু ততক্ষণে বড্ড দেরি হয়ে গ্যাছে। কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত্যুর সময় তিনি রেখে গেলেন স্ত্রী ও দুই পুত্রকে। জানা যাচ্ছে মৃতদেহ গলসী থানায় রাখা আছে। আগামীকাল সুরতহাল হবে। গত কয়েক বছর ধরে এইভাবে মৃত্যুর ঘটনা ঘটায় গ্রামবাসীদের মধ্যে একটা আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা বাপ্পা চ্যাটার্জ্জী বললেন, ‘আমাদের এলাকা কৃষিপ্রধান। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে এই এলাকায় যেভাবে বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে তাতে সত্যিই আতঙ্ক হচ্ছে। প্রশাসনের কাছে আমাদের আবেদন আপনারা বিশেষজ্ঞদের এখানে এনে পরীক্ষা করে দেখুন কেন বারবার এরকম ঘটনা ঘটছে ।’।