শ্যামসুন্দর ঘোষ,মন্তেশ্বর(পূর্ব বর্ধমান),২১জুলাই : রাতে ঘরের মধ্যে মশারি টাঙিয়ে শুয়েছিলেন গৃহবধু । পাশেই ঘুমচ্ছিল তিন নাবালিক নাতিনাতনি ও স্বামী । সেই সময় কোনোভাবে একটি গোখরো সাপ মশারির ভিতরে ঢুকে যায় । ছোবল বসিয়ে দেয় বধুর পায়ে । তড়িঘড়ি উদ্ধার করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবারের লোকজন । কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি । চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মৃত্যু হয় ওই বধুর । ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার মন্তেশ্বর থানার সাহাপুরগ্রামে । নিহত বধুর নাম সবিতারাণী সিং(৪৮) । মর্মান্তিক এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ পরিবার পরিজন ।
জানা গেছে,মৃতা সবিতারাণী সিং স্থানীয় একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সহায়কের কাজ করতেন । তাঁর স্বামী সিদ্ধেশ্বর সিং পেশায় জনমজুর । তাঁদের তিন মেয়ে । সকলের বিয়ে হয়ে গেছে । দুই মেয়ে বাপের বাড়িতেই থাকেন । তিন নাতিনাতনি সবিতারাণীর । ছিটেবেড়া দেওয়াল অ্যাসবেস্টসের ছাউনি দেওয়া তিন কামড়ার মাটির বাড়িতে অতিকষ্টে বসবাস । অত্যন্ত হতদরিদ্র পরিবার ।
সিদ্ধেশ্বরবাবু বলেন,’অনান্য দিনের মত বুধবার রাতেও তিন নাতিনাতনিকে সঙ্গে নিয়ে আমি ও আমার স্ত্রী ঘুমচ্ছিলাম । রাত্রি প্রায় ১২ টা নাগাদ আমি একবার শৌচাগারে গিয়েছিলাম । ফিরে এসে যথারীতি ফের শুয়ে পড়ি । তারপর রাত্রি প্রায় ১ টা ১৫ নাগাদ আমার স্ত্রী বলেন তার পায়ে নাকি কিছুতে কামড়ে দিয়েছে । একথা শুনে আমি উঠে লাইট জ্বলে দেখি আমার স্ত্রীর পায়ে কামড়ানোর চিহ্ন রয়েছে । ভেবেছিলাম হয়তো ইঁদুর হবে । কিন্তু মশারি ঝাড়াঝাড়ি করতেই বেরিয়ে আসে একটি গোখরো সাপ । এরপর স্ত্রী ও নাতিনাতনিদের দ্রুততার সঙ্গে ঘর থেকে বের করে আনি ।’
মৃতার সম্পর্কীয় মামা ঝুলন হাজরা জানান, সবিতাকে তড়িঘড়ি গাড়ি করে প্রথমে মন্তেশ্বর ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । কিন্তু তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে দেওয়া হয় । কিন্তু বর্ধমানে নিয়ে যাওয়ার আঘ ঘন্টার মৃত্যু হয় আমার ভাগনির ।।