জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,গুসকরা(পূর্ব বর্ধমান),২০ জুলাই : একে কী বলা যাবে – ‘দুয়ারে স্বাস্থ্য পরিষেবা’ ? হয়তো তাই ! লোকসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শহর অর্থাৎ পৌর এলাকার পরিসর বেড়েই চলেছে। স্বাভাবিক ভাবেই স্বাস্থ্য পরিষেবা পেতে শহরের মানুষের সমস্যা হচ্ছে। কারণ লোকসংখ্যা বাড়লেও সেই অনুপাতে স্বাস্থ্যকেন্দ্র বাড়ছে না। এবার সেই সমস্যা দূর করতে যৌথ ভাবে এগিয়ে এল রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা দপ্তর এবং রাজ্য নগর উন্নয়ন সংস্থা। ঠিক হয়েছে রাজ্যের প্রতিটি পৌর এলাকার মানুষের দুয়ারে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য একাধিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘সুস্বাস্থ্য’ কেন্দ্র । সেখানে ডাক্তার, নার্স সহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা থাকবেন। এক কথায় একটি পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালের মতই সমস্ত পরিষেবা সেখানে পাওয়া যাবে। পূর্ব বর্ধমান জেলার গুসকরা পৌরবাসীরা এরকম তিনটি ‘সুস্বাস্থ্য’ কেন্দ্র পাচ্ছে।
এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ২০ শে জুলাই পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডে পশু বাজার সংলগ্ন পৌরসভারই একটি সাবসেণ্টারে অস্হায়ীভাবে প্রথম সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন হয়। আনুষ্ঠানিক ভাবে পুরসভার চেয়ারম্যান কুশল মুখার্জ্জী ও ভাইস চেয়ারম্যান বেলি বেগম কেন্দ্রটির উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রত্যেকেই তাদের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি পরিচালনা করবে গুসকরা পুরসভা।
চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রত্যেক ওয়ার্ডের কাউন্সিলার, পুরসভার কার্য নির্বাহী আধিকারিক অশোক কাঁড়ার, অর্থ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অভিজিৎ মুখার্জ্জী, গুসকরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ডাঃ দেবতনু দত্ত সহ এলাকার বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট মানুষ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন পুরসভার ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য নির্দেশক চন্দন যশ।
চন্দন বাবু বললেন,’রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে মোট তিনটি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অনুমোদন পাওয়া গ্যাছে। আপাতত অস্হায়ীভাবে পরিষেবার কাজ শুরু হলেও বাড়ি তৈরি হয়ে গেলেই সেগুলি নির্দিষ্ট জায়গায় শুরু হবে এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রায় সমস্ত পরিষেবা পাওয়া যাবে।’
অন্যদিকে কুশল বাবু বলেন,’শহরের প্রতিটি মানুষের কাছে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগ। আশাকরি তার প্রতিটি প্রকল্পের মত এটিও চূড়ান্ত সাফল্যের মুখ দেখবে ।’।