দিব্যেন্দু রায়,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),১৫ জুলাই : বধুকে পুড়িয়ে মারার দায়ে স্বামী,শাশুড়ি,দেওরকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের সাজা শোনালো পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমা আদালত । সাজাপ্রাপ্তরা হল নিহত বধূ সুমিতা প্রধানের স্বামী তপন প্রধান, শাশুড়ি লজ্জা প্রধান এবং দেওর ধূলো প্রধান । তাঁদের বাড়ি কাটোয়ার বাগটোনা গ্রামে । শুক্রবার কাটোয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সুকুমার সূত্রধর আসামীদের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের পাশাপাশি বধূ নির্যাতনের মামলায় অতিরিক্ত ৩ বছরের কারাদন্ড এবং ১২ হাজার টাকা করে জরিমানারও নির্দেশ দিয়েছেন । দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর পর এই নৃশংস খুনের মামলায় দোষীরা সাজা পাওয়ায় খুশি বধুর পরিবার ও পরিজন ।
জানা গেছে,নিহত সুমিতা প্রধানের বাপের বাড়ি কাটোয়ার খাজুরডিহি গ্রামে । মৃত্যুর বছর দশেক আগে তাঁর বিয়ে হয় । দুই সন্তানের জননী ছিলেন সুমিতাদেবী । ২০০৭ সালে ১৮ নভেম্বর বাগটোনা গ্রামে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁর দগ্ধ দেহ উদ্ধার করে পুলিশ । মৃতার বাবা খোকন প্রধান এনিয়ে বধূর স্বামী, শাশুড়ি, দেওর, দুই মামাশ্বশুর ও নিহত সুমিতার নন্দাইয়ের বিরুদ্ধে তাঁর মেয়েকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে থানায় এফআইআর দায়ের করেন । তাঁর অভিযোগ, সাংসারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁর মেয়ের উপর প্রতিনিয়ত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতো স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন । ঘটনার দিন রাত্রি সাড়ে এগারোটা নাগাদ এক প্রতিবেশীর মাধ্যমে জানতে পারেন তাঁর মেয়ে মারা গেছে । পরের দিন গিয়ে মেয়ের দগ্ধ দেহ দেখতে পান তিনি ।
জানা গেছে,এই খুনের মামলায় মোট ৬ জনের নামে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল । ২০০৮ সালের ৩১ মার্চ মামলার চার্জশিট আদালতে জমা দেয় পুলিশ । ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহন করে আদালত। ৩ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে । বৃহস্পতিবার বাকি ৩ জনকে দোষী সব্যস্ত করা হয় । এদিন সাজা ঘোষণা করে আদালত ।।