এইদিন ওয়েবডেস্ক,ফতেহপুর(উত্তরপ্রদেশ),১৫ জুলাই : ধর্ম পরিচয় লুকিয়ে এক হিন্দু তরুনীকে বিয়ে করার অভিযোগ উঠল উত্তরপ্রদেশের ফতেহপুরের এক যুবকের বিরুদ্ধে । পরিচয় প্রকাশ্যে আসতেই স্ত্রীকে ছেড়ে ফেরার হয়ে গেছে অভিযুক্ত যুবক । মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরের বাসিন্দা সিমরান প্যাটেল নামে নির্যাতিতা তরুনী বুধবার (১৩ জুলাই ২০২২) ফতেপুরে আসেন আসলামের খোঁজে । তরুনীর অভিযোগ, নিজেকে সঞ্জয় বলে পরিচয় দিয়েছিল আসলাম । দূর্গামন্দিরে গিয়ে তাঁকে বিয়েও করেছিল । তারপর বিগত ৩ বছর ধরে তাঁকে সে ক্রমাগত ধর্ষণ করে গেছে । সম্প্রতি তিনি আসলামের আসল পরিচয় জানতে পারলে সে তাঁকে ছেড়ে পালিয়ে যায় । অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন নির্যাতিতা তরুনী । পাশাপাশি তিনি পুলিশের অসহযোগিতা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন ।
সংবাদ মাধ্যম ওপি ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে,উত্তরপ্রদেশের ফতেহপুর জেলার খাগা থানা এলাকার উমরা ভাগলপুর গ্রামে বাড়ি অভিযুক্ত আসলাম খানের । অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরের মহারাজপুর থানা এলাকার বাসিন্দা নির্যাতিতা তরুনী সিমরান প্যাটেল । তাঁরা দু’জনেই জব্বলপুর শহরের একটি সিমেন্ট কারখানায় কাজ করেন । সেই সুত্রে তাঁদের পরিচয় ।
সিমরানের অভিযোগ,’আসলাম নিজেকে সঞ্জয় বলে পরিচয় দেয় এবং আমাকে প্রেমের জালে ফাঁসায় । এরপর ২০২০ সালের ২৫ জুলাই স্থানীয় একটি দুর্গা মন্দিরে নিয়ে গিয়ে সে আমায় বিয়ে করে । তারপর আমাকে নিয়ে একটি ভাড়া ঘরে তোলে । বিগত ৩ বছর ধরে সেখানে ক্রমাগত যৌন নিপীড়ন করতে থাকে আসলাম । কিন্তু চলতি বছরের ৩০ জুন আমি তার ধর্ম পরিচয় জানতে পারি । আর এরপরেই আসলাম আমাকে ফেলে তার গ্রামে ফতেপুরে পালিয়ে যায় ।’
জানা গেছে, স্বামী ফেরার হয়ে যাওয়ার পর নির্যাতিতা তরুনী ফতেপুরে এসে খাগা কোতোয়ালিতে আসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন । পুলিশ অভিযোগকারিনীকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় । তরুনীর অভিযোগ, ‘পুলিশ বলছে আসলামের খবর পেলে আমায় জানিয়ে দেবে । কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না ।’ যদিও তরুনীর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ফতেহপুরের পুলিশ সুপার রাজেশ কুমার । তিনি জানিয়েছেন, এযাবৎ এনিয়ে থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি । অভিযোগ দায়ের হলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।।