এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),১১ জুলাই : কাটোয়ায় পুরআইন না মেনেই বাড়ি নির্মাণ করার অভিযোগে সরব হয়েছেন পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেসের কাউন্সিলর রঞ্জিত চট্টোপাধ্যায়। রঞ্জিতবাবু ওই বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে পোষ্ট করেন। তানিয়ে পুরসভায় সোমবার তর্কবিতর্ক সৃষ্টি হয়। পুরসভার একাংশের অভিযোগ রঞ্জিত চট্টোপাধ্যায় পুরসভার অন্যান্য কাউন্সিলর ও পুরকর্মীদের অসন্মান করেছেন। যদিও রঞ্জিত চট্টোপাধ্যায় তা মানতে নারাজ।
কাটোয়া পুরসভার চেয়ারম্যান এদিন রঞ্জিত চট্টোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠান। চেয়ারম্যান ঘটনা নিয়ে আলোচনার শেষে বলেন,” ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সামাজিক মাধ্যমে কিছু লেখার কারনে পুরসভার সন্মানহানি হচ্ছে। তাকে সতর্ক করা হয়েছে। বলা হয়েছে অন্য কোনও ওয়ার্ডের সমস্যা নিয়ে মাথা না ঘামাতে।’
বিতর্কের সূত্রপাত কাটোয়া পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় একটি বাড়ি নির্মাণ নিয়ে। একটি পুরানো বাড়ি কিনে সেটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণ শুরু করেছেন এক চিকিৎসক। চিকিৎসকের স্ত্রীর নামে জায়গা। ওই পুরানো বাড়ি ভাঙার পর সেই জায়গায় নির্মাণকাজ নিয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা বিজয় ঘোষ পুরসভার কাছে অভিযোগ জানান।তার অভিযোগ যথাযথ ছাড় না দিয়ে ওই গৃহ নির্মাণ করা হচ্ছে।
গত শুক্রবার রাতে ঢালাইয়ের কাজ শুরুও করা হয়। তানিয়ে রঞ্জিত চট্টোপাধ্যায় কাটোয়ার একটি হোয়াটসআ্যপ গ্রুপে নির্মাণকাজের ছবি সহ লেখেন,” কোনও প্ল্যান ছাড়াই ও জায়গা না ছেড়ে কাছারিরোডে বাড়ি ঢালাই করছেন। কাজ চলছে রাতের অন্ধকারে। আলো জ্বালিয়ে কাজ সবার চোখের সামনে। সবাই চুপ। পয়সাতে মুখ বন্ধ।”
তারপর কাউন্সিলরদের একাংশ চেয়ারম্যানকে জানান। সোমবার চেয়ারম্যান রঞ্জিত চট্টোপাধ্যায়কে পুরসভায় ডেকে পাঠান। সতর্ক করে দেওয়া হয়।
যদিও রঞ্জিত চট্টোপাধ্যায় বলেন,” একজন কোটিপতি অন্যায়ভাবে পুরসভার অনুমতি না নিয়ে বাড়ি ভাঙা ও নতুন করে নির্মাণকাজ করছে।পাশাপাশি একজন গরিব মানুষ অভিযোগ করেও বিচার পাবে না। এনিয়ে প্রতিবাদ করেছি।আমি কাউকে অসম্মান করিনি।’
রঞ্জিতবাবুর অভিযোগ, পুরসভায় গত ২৭ জুন বিজয় ঘোষ অভিযোগ জানানোর পরেও পুরসভা থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।চেয়ারম্যান যদিও বলেন,’অভিযোগ পেয়ে ওই নির্মিয়মান বাড়ির মালিককে নোটিশ করা হয়েছিল। যদিও তিনি আসেননি। এরপরেও যদি তিনি পুরআইন ভঙ্গ করেন তাহলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।’।