এইদিন ওয়েবডেস্ক,চন্ডীগড়,১১ জুলাই : বর্তমান যুগে শতবর্ষ উত্তীর্ণ মানুষের সংখ্যা হাতে গোনা । গুটি কয়েক যে কয়েকজন বেঁচে আছেন তাঁরা বয়সের ভারে শয্যাশায়ী । তবে হরিয়ানার ১০৫ বছরের নানী রামবাই শুধু হাঁটাচলাই নয়, রীতিমতো দৌড়বিদ হিসেবে নাম কুড়িয়েছেন । কিংবদন্তি দৌড়বিদ উসাইন বোল্টের নাম কে না জানে। পৃথিবীর সর্বকালের দ্রুততম মানব হিসেবে খ্যাতি রয়েছে জ্যামাইকান এই স্প্রিন্টারের। তবে বিদ্যুৎগতির বোল্টকে এবার বোল্ড করে দিয়েছেন হরিয়ানার ওই বৃদ্ধা । ১০৫ বছর বয়সে এসে রামবাই থুত্থুরে বুড়ি নন, একজন চ্যাম্পিয়ন রানার, ভারতবাসীর কাছে ফিটনেস আইকন । তাইতো সবার কাছে তিনি বড় আদরের ‘নানী বোল্ট’ ।
রামবাই জানান, ২০২১ সালে করোনার মধ্যেই স্প্রিন্টে ক্যারিয়ার শুরু করেন। এরইমধ্যে জিতে নিয়েছেন বেশ কিছু পদক। শত বয়সের ক্যাটাগরিতে দৌড়ের মাঠে নানী রামবাইয়ের প্রতিযোগী খুব একটা মেলে না। কখনো দেখা যায়, ম্যারাথন ট্র্যাকে তিনি একাই দৌড়াচ্ছেন । আর পাশ থেকে দর্শক চিৎকার করে তাঁকে সতর্ক করছে, ‘নানী আস্তে দৌড়াও। আস্তে দৌড়াও। পড়ে যাবে যে ! এই বয়সে হাড় ভাঙলে আর জোড়া লাগবে না।’ কিন্তু কে শোনে কার কথা ।
দৌড়ে গত এক বছরেই বেশ কিছু রেকর্ড করেছেন রামবাই। এরমধ্যে ১০০ মিটার দৌড় শেষ করেছেন মাত্র ৪৫ সেকেন্ডে । ২০০ মিটার ৭৪ সেকেন্ডে দৌড়ে শেষ করে নানী জিতেছেন প্রথম স্বর্ণপদক । দৌড়ে জিতেছেন গুজরাটের বদোদরায় আয়োজিত জাতীয় ওপেন মাস্টার্স অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ (National Open Masters Athletics Championship)-এ স্বর্ণপদক ।
নিজের প্রাত্যহিক জীবনযাপন সম্পর্কে রামবাই জানান, প্রতিদিন ভোর চারটায় ঘুম থেকে ওঠেন তিনি । তারপর দৌঁড়াতে চলে যান। ব্যায়াম করেন । দিনভর নিজেকে ব্যস্ত রাখেন গৃহস্থালি বিভিন্ন কাজে । খাবারদাবার সম্পর্কে রামবাইয়ের নাতনী শর্মিলা জানান, নানী সকালে এক বাটি গরম দুধ খান। সন্ধ্যাতেও খান একবাটি । এভাবেই তার চলে যায় । দুধ খেয়েই শরীরে পান দৌড়ানোর শক্তি । মাঝেমধ্যে ঘি আর দই খেতেও পছন্দ করেন তিনি ।।