প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০৯ জুলাই : সরকারি চাকরির ভূয়ো নিয়োগপত্র দিয়ে এক যুবকের কাছ থেকে তিন লক্ষাধীক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হল প্রতারক । ধৃতের নাম বিনয় মুখোপাধ্যায় । পূর্ব বর্ধমানের কালনা শহরের লালবাগান এলাকায় তাঁর বাড়ি ।প্রতারিত যুবক শেখ আহম্মদ আলীর অভিযোগের ভিত্তিতে কালনা থানার পুলিশ প্রতারক বিনয় মুখোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করেছে । প্রতারণার একাধীক ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ শনিবার ধৃতকে পেশ করে কলানা মহকুমা আদালতে। তদন্তের প্রয়োজনে তদন্তকারী অফিসার ধৃতকে পুলিশি হেপাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানান । বিচারক ধৃতকে ৪ দিন পুলিশি হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ।
পুলিশ জানিয়েছে ,প্রতারিত যুবক শেখ আহম্মদ আলীর বাড়ি জেলার জামালপুর থানার বত্রিশবিঘা গ্রামে । থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন ,বেশ কিছুদিন আগে তাঁর সঙ্গে কালনার বিনয় মুখোপাধ্যায়ের পরিচয় হয়। তার পর একদিন
বিনয় মুখোপাধ্যায় কলকাতার জলসম্পদ দফতরে চাকরি করে দিতে পারবে বলে তাঁকে জানায়।চাকরির জন্য বিনয় ওই যুবকের কাছে ৭ লক্ষ টাকা চায়।আহম্মদ আলী জানিয়েছে,বিনয় মুখোপাধ্যায়ের কথা তিনি সরল মনে বিশ্বাস করেনেনি । নিজের জামাইদার চাকরির জন্য তিনি বিনয় বাবুকে ৩ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ’ফোন পে’ মাধ্যমে দিয়ে দেন । যুবকের অভিযোগ,টাকা নেওয়ার পর বিনয়বাবু তাঁকে সরকারী চাকরির নিয়োগ পত্র দেয় । সেটি যাচাই করে তিনি জানতে পারেন নিয়োগ পত্রটি জাল। প্রতারণার শিকার হয়েছেন বুঝতে পেরে আহম্মদ আলী টাকা ফেরৎ চান বিনয় মুখোপাধ্যায়ের কাছে ।কিন্তু বিনয় টাকা ফেরৎ দেয় না । উল্টে নানা হুমকি দেওয়া শরু করে ।এরপরেই টাকা ফেরৎতের দাবি করে ও সুবিচার চেয়ে আহম্মদ আলী শুক্রবার কালনা থানায় অভিযোগ দায়ের করে ।পুলিশ মামলা রুজু করে প্রতারক বিনয় মুখোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করে । এসডিপিও (কালনা ) সপ্তর্ষি ভট্টাচার্য জানিয়েছেন,’প্রতারণার অভিযোগ পেয়েই পুলিশ প্ররতারক ব্যক্তিকে কে গ্রেপ্তার করেছে।ওই ব্যক্তি আর কারকার সঙ্গে প্রতারণা করেছে ও প্রতারণার জাল কতদূর বিস্তৃত রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।’
এই প্রতারণার ঘটনা বিষয়ে কালনার বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ জানিয়েছেন ,“বিনয় মুখোপাধ্যায় কালনার লক্ষনপাড়ার কাছে একটি অফিস খুলে বসে প্রতারণা করে যাচ্ছে বলে তিনি জেনেছেন ।সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি দেওয়ার কথা বলে আগেও বিনয় বিভিন্ন জনের কাছ থেকে আগেও টাকাপয়সা নিয়েছিল ।সেই টাকা ফেরৎ দেওয়া করানো হয় ।ইদানিং আবার প্রাইমারী ও জলসম্পদ দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে বিনয় বেকারদের কাছ থেকে টাকা পয়সা নিয়েছে তিনি জানতে পারেন ।দেবপ্রসাদ বাবু স্পষ্ট জানিয়ে দেন,বিনয় মুখোপাধ্যায় আসলে একটি চিটিংবাজ।শুক্রবার জামালপুরের যুবক এসে যখন জানালো তাঁর কাছ থেকে বিনয় মোটা টাকা নিয়েছে । তখন চুপ করে আয় বসে থাকতে পারেন নি । বিনকে ধরে সোজা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন ।।