প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০৫ জুলাই : পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া ভারতবর্ষের আর কোন রাজ্য প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নাম বদল করেনি । উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান ও গুজরাটে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নাম বদল করে তাঁদের রাজ্যের নামে করেনি।এই নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী যা বলছেন সেটা ’মিথ্যা’ বলে মঙ্গলবার দাবি করলেন কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী । একই সঙ্গে তিনি বলেন,’প্রধানমন্ত্রী গরিরদের কল্যানে যে সব প্রকল্প চালু করেছেন তার সুবিধা গরিবরা যাতে না পায় তার জন্যেই বাংলার সরকার এইভাবে প্রকল্পের নাম বদলে দিচ্ছে ।সেটা দেশের সব মানুষই বোঝেন ।’
কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী বিজেপি দলের একগুচ্ছ কর্মসূচিতে যোগ দিতে বর্ধমানে এসেছেন।সোমবার তিনি পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর বুড়োরাজের মন্দিরে পুজো দিয়ে তাঁর সেখানে দলের নেতা ও কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন।এদিন তিনি প্রথমে যান জামালপুর ব্লকের জৌগ্রামের জলেশ্বর শিব মন্দিরে। সেখানে পুজো দিয়ে তিনি সোজা পৌছে যান জামালপুর থানার সন্নিকটে থাকা একটি লজে।সেখানে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক সারার পর কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ।
সংবাদ মাধ্যমকে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী বলেন,দেশের গরিবদের মদত করার জন্য কেন্দ্রের সরকার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা চালু করেছে ।কিন্তু এটা দুর্ভাগ্যের যে বাংলার সরকার নিজেরা ’বাহবা’ নেবার জন্যে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নাম বদল করে দিয়েছে ।এটা দুর্ভাগ্য জনক। দেশের জনগন এর সবকিছুই বোঝে । বাংলার সরকার আবাস যোজনা, সড়ক ,১০০ দিনের কাজ ,স্বচ্ছ ভারত অভিযানের সৌচাগার নির্মান সবেরই অর্থ দেয় কেন্দ্রের সরকার।কিন্তু এইসব কোন কাজেরই অর্থ খরচের রিপোর্ট (অডিট রিপোর্ট) যদি রাজ্য সরকার না পাঠায় তাহলে কেন্দ্র কিসের ভিত্তিতে অর্থ দেবে। কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না বলে রাজ্য সরকার যে অভিযোগ করছে তা সঠিক নয় বলে কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী এদিন জানান।
রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সোমবার মেমারির সাতগেছিয়ার জনসভা থেকে ঘোষণা করেন,২০২৬ শে নয় ২০২৪ সালেই পশ্চিমবাংলায় একসঙ্গে হবে লোকসভা ও বিধানসভা ভোট। এটা কি করে সম্ভব?তাহলে কি মহারাষ্ট্রের কৌশল বাংলাতেও প্রয়োগ করা হবে ? এই প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরীর বলেন,’এটা রণনীতির কথা । সময় আসলে এই ব্যাপারে সফ জানিয়ে দেওয়া হবে ।’।