এইদিন ওয়েবডেস্ক,মালদা,১১ জানুয়ারি : পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় হাসপাতালের এক অস্থায়ী কর্মীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল ওই হাসপাতালেরই আর এক অস্থায়ী কর্মীর বিরুদ্ধে । রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চত্বর এলাকায় । আক্রান্তের নাম মিঠুন আলী (৩০) । বর্তমানে তিনি গুরুতর আহত অবস্থায় চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । এদিকে ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত যুবক মুক্তার আলী । ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
চাঁচলের মল্লিক পাড়ার বাসিন্দা মিঠুন আলী চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ করেন । মিঠুন জানিয়েছেন, একই হাসপাতালে অস্থায়ী কর্মী হিসাবে কাজ করে তাঁর বন্ধু মুক্তার আলী । কয়েক বছর আগে মুক্তারকে তিনি সাত লক্ষ টাকা ধার দিয়েছিলেন । সেই টাকা ফেরত দিচ্ছিল না মুক্তার । তাই তিনি টাকা ফেরতের জন্য বারবার তাগাদা করতেন ।
মিঠুন বলেন, ‘টাকা ফেরত চাওয়ার জন্য মুক্তারের সঙ্গে আমার প্রায়ই ঝামেলা হত । সোমবার রাত্রে আমি যখন ডিউটিতে ছিলাম তখন মুক্তারের ফোন আসে । সে জানায় টাকা ফেরত দিতে চায় । তাই সে হাসপাতালের একটা নির্দিষ্ট যাওয়ার জন্য বলে । তার কথামত আমি সেখানে গিয়ে দেখি মুক্তার আর খাইরুল আলম দাঁড়িয়ে রয়েছে । কিছুক্ষনের মধ্যেই সেখানে ৬-৭ জন জুটে যায় । তারপর মুক্তার, খাইরুলসহ চারজন মিলে আমার মুখ বেঁধে ব্যাপক মারধর করে । আমি বাঁচার চেষ্টা করলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমার আঙ্গুলে আঘাত করে ।’
জানা গেছে, সেই সময় মিঠুনের মুখের বাধন খুলে যায় । তখন সে চিৎকার করে ওঠে । পাশেই রয়েছে হাসপাতালের ওয়ার্ড । তখন সেখানে দু’জন নিরাপত্তারক্ষী ডিউটি করছিলেন । মিঠুনের চিৎকার শুনে তাঁরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন । তখন হামলাকারীরা পালিয়ে যায় । এরপর ওই নিরাপত্তারক্ষীরাই মিঠুনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে । সোমবার এনিয়ে অভিযুক্ত খাইরুল আলম ও মুক্তার আলির নামে চাঁচল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে মিঠুন আলী । পুলিশ অভিযুক্তদের সন্ধান চালাচ্ছে । তবে এদিন বিকেল পর্যন্ত গ্রেফতারের কোনও খবর নেই বলে জানা গেছে ।।