এইদিন ওয়েবডেস্ক,কায়রো,২৯ জুন : মিশরে কপ্টিক খ্রিষ্টান মহিলাকে কাস্তে দিয়ে শিরোচ্ছেদ করার চেষ্টার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী এক মুসলিম যুবকের বিরুদ্ধে । ঘটনাটি ঘটেছে মিনিয়া গভর্নরেটের(Minya governorate) মাগাঘা (Maghagha) জেলার শারোনা(Sharona) গ্রামে । কাস্তেটি ভোঁতা থাকায় বরাত জোরে প্রাণে বেঁচে যান বছর পঁয়ত্রিশের মোনা ওয়াফদি মারজুক( Mona Wafdi Marzouk) নামে ওই মহিলা । তাঁর গলায় সাতটি সেলাই করা হয়েছে । বর্তমানে শেখ ফদল হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে ওই মহিলার । অন্যদিকে ঘটনার পর থেকেই ফেরার কাসেম ফালেহ মুহাম্মদ(Qassem Faleh Muhammad) নামে অভিযুক্ত ব্যক্তি ।
জানা গেছে,মোনা ওয়াফদি মারজুকের পরিবারের লোকজন চাষবাস করে জীবিকা নির্বাহ করেন। অত্যন্ত হতদরিদ্র পরিবার । অসুস্থ বাবাকে সাহায্য করার জন্য চাষের কাজে মাঠে যাচ্ছিলেন মোনা । শষ্য কাটার জন্য তাঁর হাতে একটি কাস্তে ছিল । কাসিম মুহম্মদ তাঁর পিছনে পিছনে আসছিল । আচমকা সে মোনার ওড়না দিয়ে তাঁকে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে । এরপর হাতের কাস্তেটা কেড়ে নিয়ে গলা পেঁচিয়ে কেটে মোনার শিরোচ্ছেদ করার চেষ্টা করে ।
আক্রান্ত মহিলার খুড়তুতো ভাই মাকারি (Makari) বলেন, ‘দিদির গলা কেটে দিয়েই পালিয়ে যায় কাসেম । কিছুক্ষণ পরে বিষয়টি আমরা জানতে পেরে মোনাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় । তার গলার সাতটি সেলাই দেওয়া হয় । সৌভাগ্যক্রমে ধমনী না কাটায় প্রাণে বেঁচে গেছে দিদি । তবে দিদি এখনও আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারেনি ।’অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন আক্রান্ত মহিলার ভাই ।
এদিকে অভিযুক্ত কাসেমের পরিবারের লোকজন তাকে মানসিক রোগী(psychopath) প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে খবর । কিন্তু গ্রামবাসীদের দাবি কাসেম চরমপন্থায় বিশ্বাসী এবং দূর্বৃত্ত প্রকৃতির । এই ঘটনার দিন কয়েক আগে সে রাজা নাজিস নামে এক খ্রিস্টান ব্যক্তির বাড়িতে হানা দিয়ে তার কাছ থেকে টাকা ও একটি মোবাইল ফোন চুরি করে পালিয়ে যায় । যদি সে সাইকোপ্যাথই হবে তাহলে কেন বারবার কপ্টিকদের নিশানা করবে ? এই প্রশ্নই তুলেছেন শারোনা গ্রামের খ্রিষ্টানরা ।।