দিব্যেন্দু রায়,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),২৩ জুন : অসুস্থ যুবকের দু’বেলার খাবার দিয়ে যেত জনমজুর দিদি । কিন্তু ছেলেকে সেই খাবার না দিয়ে সব নিজেই খেয়ে নিত কর্মহীন বাবা । শেষে রোগ আর অনাহারে অকালে প্রাণ কেড়ে নিল ওই যুবকের । মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার কুবাজপুর গ্রামের আদিবাসীপাড়ায় । খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার পুলিশ । পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম রাজেশ বাস্কি(২৪) । মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে ।
জানা গেছে,কুবাজপুর গ্রামের আদিবাসীপাড়ার বাসিন্দা বাবলু বাস্কির দুই মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে ছোট রাজেশ । সে কেরালায় শ্রমিকের কাজ করত । কিন্তু শারিরীক অসুস্থতার কারনে বছর দুয়েক আগে বাড়ি চলে আসে । বাবার কাছেই ছিল রাজেশ । গ্রামেই বসবাস করেন রাজেশের কাকা মধূ বাস্কি । সেখানেই থাকেন তাঁর অসুস্থ মা আর এক অবিবাহিত দিদি রুমা । দিদি জনমজুরির কাজ করে । রোজ দু’বেলা তিনি ভাইয়ের খাবার দিয়ে আসতেন।
মধূ বাস্কির ছেলে দিলীপের কথায়,’রুমা দিদি রোজ রাজেশের দু’বেলার খাবার দিয়ে আসতো । কিন্তু কর্মহীন কাকা নিজেই প্রায় সব খেয়ে নিত । ফলে এক প্রকার অনাহারে থাকতে হত রাজেশকে । আমরা রাজেশকে উদ্ধার করে আনার জন্য অনেক চেষ্টা করেছিলাম । কিন্তু কাকা ছাড়েনি । শেষে না খেতে পেয়ে মরে গেল রাজেশ ।’
পরিবার সুত্রে জানা গেছে,দিনচারেক ধরে ডায়েরিয়ায় ভুগছিলেন রাজেশ বাস্কি । বিছানা থেকে তার ওঠার ক্ষমতা ছিল না । মলমূত্র ত্যাগ বিছানাতেই করত । এই কারনে বাবলু তার অসুস্থ ছেলেকে লাঠি দিয়ে পেটাতো বলে অভিযোগ । এদিন সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা জানতে পারেন রাজেশ ঘরের মধ্যে মরে পড়ে রয়েছেন । খবর পেয়ে পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে আনে । একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।।