এইদিন ওয়েবডেস্ক,মহারাষ্ট্র,২২ জুন : অস্তিত্ব সঙ্কটের মুখে পড়েছে মহারাষ্ট্রের মহা বিকাশ আঘাদি (এমভিএ) সরকার । মহারাষ্ট্র বিধান পরিষদ নির্বাচনে ক্রস ভোটিংয়ের ঠিক পরেই বিদ্রোহী মনোভাব দেখিয়ে গুজরাটের সুরাটে ঠেক করেছিলেন শিবসেনা নেতা এবং মন্ত্রিপরিষদ মন্ত্রী একনাথ শিন্ডে । মঙ্গলবার রাতে তিনি দলের ৩৩ জন বিধায়ক এবং ৭ জন নির্দল বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে সেখান থেকে গুয়াহাটিতে পৌঁছে গেছেন । এনসিপি কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে বিজেপির সঙ্গে জোট গড়তে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সামনে শর্ত রেখেছেন শিন্ডে । এদিকে দুই ডজনের বেশি বিধায়ক বিদ্রোহী হয়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়ে গেছেন উদ্ধব ঠাকরে । তিনি বুধবার দুপুর ১টায় মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছেন ।
বিধান পরিষদের ১০ টি আসনের নির্বাচনের পরেই রাজনৈতিক অগ্রগতি শুরু হয় মহারাষ্ট্রে । নির্বাচন পর্ব মিটতেই সোমবার বিকেলের পর থেকে শিন্ডের কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না । ফোনেও পাওয়া যাচ্ছিল না তাঁকে । গভীর রাতে তিনি সমর্থক বিধায়কদের সাথে সুরাটের একটি পাঁচতারা হোটেলে পৌঁছেছিলেন। আর তারপর থেকেই শিবসেনার সাথে যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় । শিন্ডের সাথে হোটেলে শিবসেনার ১৫ জন বিধায়ক,এনসিপি এবং নির্দলের আরও ১৪ জন বিধায়ক রয়েছেন । বিদ্রোহী বিধায়করা গুজরাট বিজেপি সভাপতি সিআর পাতিলের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন । এদিকে সুরাট বিমানবন্দরে গুয়াহাটির উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে একনাথ শিন্ডে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন যে তিনি বালাসাহেব ঠাকরের শিবসেনা ছেড়ে যাননি এবং ছাড়বেনও না । তিনি বলেন, ‘আমরা বালাসাহেবের হিন্দুত্বকে অনুসরণ করছি এবং এটিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবো ।’অর্থাৎ কোনো অবস্থাতেই তিনি কংগ্রেস-এনসিপির সঙ্গে জোট করে সরকার চালাতে আগ্রহী নন ।
প্রসঙ্গত, শিবসেনা বিধায়ক রমেশ লাটকে মারা যাওয়ার পরে ২৮৮ সদস্যের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় একটি আসন খালি রয়েছে । এই পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্রে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় থাকার জন্য যে কোনও দল বা জোটের ১৪৪ জন বিধায়কের প্রয়োজন । ২০১৯ সালের নির্বাচনে বিজেপি ১০৫ টি আসন জিতেছিল । শিবসেনার বর্তমানে ৫৫ জন, এনসিপির ৫৩ জন এবং কংগ্রেসের ৪৪ জন বিধায়ক রয়েছে । সংসদে ১৩ জন নির্দল বিধায়ক রয়েছে । তার মধ্যে ৬ জন বিজেপি সমর্থক, ৫ জন শিবসেনা সমর্থক, কংগ্রেস এবং এনসিপি সমর্থক একজন করে নির্দল বিধায়ক রয়েছে ।।