এইদিন ওয়েবডেস্ক,ঢাকা,১৭ জুন : কৈশোর থেকেই নারী নির্যাতনের প্রতি নেশা । আর সেই নেশা থেকেই মাত্র ৩২ বছর বয়সে বহু কিশোরী আর তরুনীর সর্বনাশ করে দিয়েছে । পুলিশের হাতে ধরা পড়ার ভয়ে প্রতি নিয়ত নিজের অবস্থান বদলাতো ধর্ষক । শেষ পর্যন্ত ‘সিরিয়াল রেপিস্ট’ শামিম হোসেন মৃধাকে বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার উত্তরা থেকে গ্রেফতার করল র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন(র্যাব) । শুক্রবার কাওরান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদিক সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন কমান্ডার খন্দাকার আল মঈন । প্রাথমিক জেরায় ধৃত যুবক নিজের অপরাধ কবুল করেছে বলে তিনি জানান ।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দাকার আল মঈন বলেন,’শামিম হোসেন মৃধা একজন সিরিয়াল রেপিস্ট । কিশোর বয়স থেকেই তার নেশা বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ করা । কিন্তু অপরাধ করার পর কোথাও সে স্থায়ীভাবে বসবাস করতো না । ঢাকা, কিশোরগঞ্জ, বরিশাল ও খুলনা প্রভৃতি এলাকায় গিয়ে সে আত্মগোপান করে থাকতো । আত্মগোপনে থাকার সময়ও একাধিক ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছেন শামিম ।
খন্দাকার আল মঈন জানান,গত ১১ জুন পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় অস্ত্র দেখিয়ে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করেছিল ধৃত যুবক । পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে ধর্ষণের শিকার হয় ওই কিশোরী । এই ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মা ভান্ডারিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছিলেন ।
এছাড়া ২০১৫ সালের ২৬ জানুয়ারী গভীর রাতে ভান্ডারিয়ার বাসিন্দা এসএসসি পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীর ঘরের দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে । ২০১৭ সালের ১ নভেম্বর একই উপজেলার এক ছাত্রী মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাকে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। ২০২১ সালের ১০ অক্টোবর আরেক মাদ্রাসার ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন করে শামিক । এসব ঘটনায় ভান্ডারিয়া থানায় বিভিন্ন সময়ে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ।
র্যাব সুত্রে খবর,শামিম হোসেন মৃধা কখনও অটোরিকশা, আবার কখনও চার চাকার গাড়ি চালাতো । ঢাকার বাবুবাজার ও গাবতলী এলাকায় ছিল তার ঠেক । তবে চালকের পেশার আড়ালে ধর্ষণ, হত্যার চেষ্টা ও মাদক পাচারসহ বিভিন্ন প্রকার অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিল ওই যুবক । তার বিরুদ্ধে ১০টির বেশি মামলা রয়েছে । থানায় ছয়টি গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে । বিভিন্ন মামলায় ৪-৫ বার কারাবাসও করেছে শামিম হোসেন মৃধা । কিন্তু বন্ধ হয়নি তার অপরাধ প্রবনতা ।।