এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়া দিল্লি,১৩ জুন : ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সোমবার রাহুল গান্ধীকে তিন ঘণ্টা জেরা করল ইডি । ইডির অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার এক আধিকার একাই এদিন কংগ্রেস নেতাকে জেরা করেন । তবে রাহুলের সাথে আইনজীবীদের যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি ।
প্রসঙ্গত,রাহুল গান্ধী এবং সোনিয়া গান্ধীর মালিকানাধীন ‘ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড’ নামের একটি সংস্থা ২০১১ সালে ন্যাশনাল হেরাল্ড, কোয়াম-ই-আওয়াজ, এবং নবজীবন, এই তিনটি সংবাদপত্র ‘অ্যাসোসিয়েট জার্নালস লিমিটেডে’র কাছ থেকে অধিগ্রহণ করে । মাত্র ৫০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ‘অ্যাসোসিয়েট জার্নালস লিমিটেডের’ কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হয়ে যায় ‘ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড’। স্বাভাবিক কারনে নিয়ম বহির্ভূতভাবে অধিগ্রহণ করা হয়েছে বলে প্রশ্ন ওঠে । এই মামলায় রাহুল গান্ধীকে গত ২ জুন এবং তাঁর মা সোনিয়া গান্ধীকে আগামী ৮ জুন হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইডি । কিন্তু রাহুল গান্ধীর অনুরোধে দিন পরিবর্তন করে ১৩ জুন করা হয় । এদিন সকাল ১১টা ১৫ নাগাদ দিল্লিতে ইডির সদর দপ্তরে হাজিরা দেন রাহুল ।
জানা গেছে,রাহুলকে এদিন বেশ কিছু ভাসাভাসা প্রশ্ন করেছিল ইডির আধিকারিক । ইডি প্রথমে জিজ্ঞাসা করেছিল,ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড, ন্যাশনাল হেরাল্ড পাবলিশিং-এর সাথে সম্বন্ধযুক্ত সংস্থার দখল নিতে পারে কিনা। ইডির দ্বিতীয় প্রশ্ন ছিল ইয়াং ইন্ডিয়া এজেএল দ্বারা কেনা ৫০ লক্ষ অর্থপ্রদানের পদ্ধতি কী ছিল । ইডিও রাহুলকে জিজ্ঞাসা করে আপনার কোম্পানির কত শতাংশ অংশীদারিত্ব রয়েছে । কিভাবে এবং কত শেয়ার কিনলেন? এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে আপনার ৩৮ শতাংশ শেয়ার সংক্রান্ত নথি কি দেখিয়েছেন ? এই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হয় রাহুলকে । সূত্রের খবর, রাহুল গান্ধীর কাছ থেকে বিদেশে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও সম্পদের যাবতীয় তথ্য চেয়েছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিক । এর বাইরে ইডি জিজ্ঞাসা করেছিল ইয়ং ইন্ডিয়া লিমিটেড কখন গঠিত হয়েছিল এবং সংস্থাটি কত টাকা সংগ্রহ করেছিল। পাশাপাশি ইয়াং ইন্ডিয়াতে কতজন পরিচালক ছিলেন এবং তাদের অংশীদারিত্ব কী ছিল ?
উল্লেখ্য, এদিন ইডির দপ্তর পর্যন্ত রাহুলের গাড়িতেই ছিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভাদ্রা । এদিকে রাহুলকে তলব করার পরেই দলের তরফে জানানো হয়েছিল, দেশজুড়ে বিক্ষোভ দেখানো হবে। সেই মতো সোমবার সকাল থেকেই দিল্লিতে কংগ্রেসের সদর দপ্তরের সামনে ভিড় জমাতে থাকেন সমর্থকেরা । ইডি অফিসের বাইরেও বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল কংগ্রেসের । তবে আগে ভাগেই ইডির দপ্তরের চারপাশে ১৪৪ ধারা জারি করে দেওয়া হয় । কিন্তু সেই বিধিনিষেধ ভেঙে বিক্ষোভ দেখানোয় অনেক কংগ্রেস কর্মীকে আটক করে দিল্লি পুলিশ ।।