প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১২ জুন : নার্সের চাকরি করা নিয়ে রেণু খাতুনের মতোই স্বামীর চরম নির্যাতনের শিকার হল আর এক নার্স ব্রততী।নার্সিংয়ের চাকরি করা নিয়ে কঠোর আপত্তি জানিয়ে স্বামী রাহুল মিশ্র তাঁর স্ত্রী ব্রততীতে মারধোর করে প্রাণে মারার চেষ্টা করে ।এমন কি স্ত্রীর ব্রততির নার্সিংয়ের চাকরির সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্রও ছিড়ে ফেলে দেন ।চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড় থানার জোতরামে ।
তবে নার্সিংয়ের কাজ করতে চাওয়া স্ত্রীর উপর এমন নির্যাতন চালিয়ে রেহাই পায় নি রাহুল মিশ্র । বধূ ব্রততী চট্টরাজ মিশ্র বাবার বাড়ির লোকজনের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে শক্তিগড় থানার পুলিশ শনিবার সকালে বাড়ি থেকে রাহুল মিশ্রক গ্রেপ্তার করে । সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ এদিনই ধৃতকে পেশ করে বর্ধমান আদালতে । বিচারক ধৃতকে বিচারবিভাগীয় হেপাজতে পাঠিয়ে আগামী মঙ্গলবার ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দিয়েছেন ।
পুলিশ জানিয়েছে, খণ্ডঘোষ থানার কালনা গ্রামে বাড়ি নীলকান্ত চট্টরাজের ।ভাব ভালবাসা করে বছর খানেক আগে তাঁর মেয়ে ব্রততীকে বিয়ে করে শক্তিগড়ের জোতরাম নিবাসী যুবক রাহুল মিশ্র ।দম্পতির একটি দু’মাসের ছেলে আছে। ব্রততী নার্সিংয়ের চাকরি করেন। তাঁর নার্সিংয়ের চাকরিতে আপত্তি রয়েছে স্বামী রাহুলের । স্বামী তাঁকে চাকরি করে দিতে রাজি নন। এনিয়ে ব্রততীর সঙ্গে তাঁর স্বামীর বেশ কিছুদিন ধরে মতবিরোধ চলছে।রাহুল বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই ব্রততী তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখাও বন্ধ করে দেয় । প্রায়ই তাঁকে মারধর করা হত। শুক্রবার দুপুরেও নার্সিংয়ের কাজ করা নিয়ে ব্রততীর সঙ্গে অশান্তি শুরু হয় রাহুলের। তখন রাহুল তাঁর স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তাঁর চাকরির কাগজপত্রও রাহুল ছিঁড়ে দেয় বলে অভিযোগ । এর প্রতিবাদ করেন ব্রততী। সেজন্য তাঁকে মারধর করা হয়। এমনকি শ্বাসরোধ করে খুন করার চেষ্টা করা হয়। ব্রততী চিৎকার-চেঁচামেচি করলে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়। এরপর তাঁকে শিশুসন্তান সহ এক বস্ত্রে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। ওই দিন রাতেই ব্রততি এই ঘটনার কথা জানিয়ে শক্তিগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নেয় ।।