এইদিন ওয়েবডেস্ক,লক্ষ্ণৌ,১১ জুন : কথিত ধর্মনিন্দার প্রতিবাদের নামে শুক্রবার নামাজের পর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ব্যাপক হিংসার ঘটনা ঘটেছে । বাদ যায়নি উত্তরপ্রদেশও । উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর, ফিরোজাবাদ, মোরাদাবাদ এবং আম্বেদকর নগর জেলায় ব্যাপক অশান্তির খবর পাওয়া গেছে । যদিও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ । বিষয়টি হালকা ভাবে নিচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ । প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন । আর তাঁর নির্দেশের পরেই পুলিশ ব্যাপক ধরপাকড় অভিযান শুরু করে দিয়েছে । এযাবৎ ২২৭ জন দুর্বৃত্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে । তার মধ্যে প্রয়াগরাজে সর্বাধিক ৭০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । এছাড়া হাতরাসে ৫০, আম্বেদকরনগরে ২৮, মোরাদাবাদে ২৫, সাহারানপুরে ৪৮ এবং ফিরোজাবাদে ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। সিসিটিভি ফুটেজ ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ভিডিও ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের চেষ্টা চলছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ।
এডিজি (আইন শৃঙ্খলা) প্রশান্ত কুমারের জানিয়েছেন, দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে গ্যাংস্টার আইনে মামলা রজু করা হবে । হিংসায় যে ক্ষতি হয়েছে তা দাঙ্গাকারীদের কাছ থেকে আদায় করা হবে ।’ পাশাপাশি তিনি জানান, বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে গুজব না ছড়ানো এবং গুজবে কান না দেওয়ার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হচ্ছে ।
সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী,সব থেকে বেশি হিংসার ঘটনা ঘটেছে প্রয়াগরাজের মুসলিম অধ্যুষিত কারেলি এলাকায় । এখানে দুষ্কৃতকারীদের ছোড়া পাথরের আঘাতে আহত হয়েছেন এডিজির এক গানার । খোদ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আহত হয়েছেন । পিএসি ট্রাক পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে । ওই সমস্ত জায়গায় পাথর ছোড়ার জন্য নাবালক ছেলেদের এগিয়ে দেওয়া হয়েছিল । তারা আশপাশের বাড়ির ছাদ থেকে ইঁটপাটকেল ছুড়ছিল । আম্বেদকরনগর জেলার আলিগঞ্জ থানা এলাকার তালওয়াপার মসজিদের সামনে পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয় । এখানেও নাবলকদের সামনে এগিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ ।
প্রসঙ্গত,শুধু উত্তরপ্রদেশই নয়,শুক্রবার নামাজের পর ঝাড়খন্ড,পশ্চিমবঙ্গ,বিহার, তেলেঙ্গানাসহ একাধিক রাজ্যে ঘটেছে হিংসার ঘটনা । শুক্রবার একই সময়ে দেশ জুড়ে এই হিংসার ঘটনাকে পূর্ব পরিকল্পিত বলে সন্দেহ প্রকাশ করছে একাংশের মানুষ ৷।