দিব্যেন্দু রায়,কেতুগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),১০ জুন : পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম থানার কোজলসা গ্রামের বাসিন্দা রেণু খাতুনের হাত কেটে নেওয়ার ঘটনার মাস্টার মাইন্ড চাঁদ মহম্মদকে গ্রেফতার করল পুলিশ । মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুর থানার তালগ্রামের বাসিন্দা ওই যুবক রেণুর স্বামী শের মহম্মদ শেখ ওরফে সরিফুলের মাসতুতো ভাই । রসায়নে অনার্সের অন্তিম বর্ষের ছাত্র চাঁদ মহম্মদই রেণুকে সরকারি চাকরি করা থেকে রুখতে তাঁর হাত কেটে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে ।
ইতিপূর্বে এই ঘটনায় রেণুর স্বামী সরিফুল, শ্বশুর শাশুড়ি,মুর্শিদাবাদের তালগ্রামের বাসিন্দা আসরফ আলি ও হাবিব শেখ নামে চাঁদ মহম্মদের দুই বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ । পুলিশ সুত্রে খবর,রেণুর চাকরি করা রুখতে তাঁর হাত কেটে নেওয়ার জন্য সরিফুলকে পরামর্শ দিয়েছিল চাঁদ মহম্মদ । আসরফ ও হাবিবকে নিয়ে রীতিমতো ব্লুপ্রিন্টও তৈরি করে ফেলেছিল চাঁদ । এদিকে হাবিব পুনেতে তার কর্মক্ষেত্রে চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করে । আসরফ কেরল থেকে বাড়িতে ফেরার পর কুয়েতে যাওয়া তোড়জোড় করছিল । তাই ‘অপারেশন’-এর দিন আর পিছতে চায়নি চাঁদ মহম্মদ । সকলে মিলে গত শনিবার রেণুর হাত কেটে ফেলার দিন ঠিক করে ফেলে ।
পুলিশ জানতে পেরেছে,ঘটনার দিন রাতে চাঁদ মহম্মদ, হাবিব ও আসরফ একটি বাইকে চড়ে তালগ্রাম থেকে কোজলসা গ্রামে আসে । তখন রাত্রি প্রায় এগারোটার আশপাশ হবে । রেণু নিজের ঘরে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন । সেই সময় সরিফুল ওই তিনজনকে নিয়ে ঘরে ঢোকে । পরিকল্পনা মত আসরফ রেণুর মাথা বালিশ দিয়ে চেপে ধরে । হাবিব ধরে রাখে রেণুর পা দুটো । সেই সময় বাড়ির একটা ভোঁতা কাঁটারি দিয়ে রেণুর ডান হাতের কব্জি কুপিয়ে কুপিয়ে কেটে ফেলে সরিফুল । আর এই ঘটনার সময় ঘরের বাইরে পাহাড়া দেয় চাঁদ মহম্মদ এবং সরিফুলের বাবা মা ।
ঘটনার মাস্টার মাইন্ড চাঁদ মহম্মদকে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের সালার রেলস্টেশন থেকে গ্রেফতার করে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ । শুক্রবার ধৃতকে কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয় । তদন্তের স্বার্থে ধৃতদের নিয়ে টিআই প্যারেড করানো হতে পারে বলে পুলিশ সুত্রে খবর ।।