এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১০ জুন : গরু পাচার মামলায় বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দীর্ঘদিনের অনুচর তথা তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করল সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) । বৃহস্পতিবার তাঁকে কলকাতায় নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের সদর দপ্তরে তলব করা হয়েছিল । ওই দিন দুপুর দুটো নাগাদ নিজাম প্যালেসে পৌঁছে যান সায়গল । চলে ম্যারাথন জেরা । দীর্ঘ প্রায় ৫ ঘন্টা জেরার পর শেষে সন্ধ্যা নাগাদ গ্রেফতার করা হয় তাঁকে । বিপুল পরিমান স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির হিসেব দিতে না পারার কারনেই অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সিবিআই সুত্রে খবর । শুক্রবার ধৃতকে আসানসোলের বিশেষ আদালতে তোলা হয় ।
মুর্শিদাবাদের ডোমকল পুরসভা এলাকার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি সায়গল হোসেনের । তাঁর বাবা রাজ্য পুলিশের এসআই পদে কর্মরত ছিলেন । বাবার মৃত্যুর পরে রাজ্য পুলিশের কনস্টেবলের চাকরি পেয়ে যান সায়গল । তখন আর পাঁচটা মধ্যবিত্তের মতই ছিল তাঁর সাদামাটা জীবন । কিন্তু অনুব্রতর মণ্ডলের নিরাপত্তারক্ষী নিযুক্ত হওয়ার পরই থেকেই তাঁর আর্থিক অবস্থা চড়চড় করে বদলাতে শুরু করে । প্রাইমারি স্কুলে চাকরি জুটে যায় সায়গলের স্ত্রীর । বোলপুর ও মুর্শিদাবাদের ডোমকলে বাড়ি, কলকাতায় নামে ও বেনামে একাধিক ফ্লাট, নিউটাউনের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ সোনা – একজন সামান্য নিরাপত্তারক্ষীরা এত বিপুল সম্পতির হিসাব মেলাতে পারছিল না সিবিআইয়ের তদন্তকারী দল ।
গরুপাচার কাণ্ডে দীর্ঘদিন ধরেই সিবিআইয়ের র্যাডারে ছিল অনুব্রতর স্নেহধন্য রাজ্য পুলিশের এই কনস্টেবলটি । ইতিপূর্বে বার দুয়েক তাঁকে জেরাও করেছিল সিবিআই । বৃহস্পতিবার তাকে ফের তলব করে বিপুল সম্পতির উৎস কি তা জানার চেষ্টা করেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা । কিন্তু হিসাব দিতে পারেননি সায়গল । বক্তব্যে ধরা পড়ে একাধিক অসঙ্গতি । শেষ পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত নেয় সিবিআই । সিবিআই সুত্রে খবর,সায়গলের বেশ কিছু বেনামি সম্পত্তিও রয়েছে । অনুব্রত মণ্ডলের বেশ কিছু সম্পত্তি সায়গলের কাছে রয়েছে বলে সন্দেহ তদন্তকারী দলের ।।