এইদিন ওয়েবডেস্ক,মালদা,০৯ জুন : করগেটের ছাউনি ও করগেট দিয়ে ঘেরা ঝুপড়ি ঘরে বসবাস । ঘরের পাশেই ছিল বড়সড় একটি নিমগাছ । বৃহস্পতিবার ভোর রাতে প্রবল ঝড়বৃষ্টি শুরু হলে বধুর ঘুম ভেঙে যায় । আর ঠিক সেই সময় গাছ ভেঙে পড়ার শব্দ শুনতে পান তিনি । কি ঘটতে চলেছে অনুমান করেই দুই শিশুসন্তানকে ঢুকিয়ে দেন ঘরে রাখা একটি কাঠের চৌকির তলায় । নিজেও সেখানে ঢুকতে যাবেন, ঠিক সেই সময় ঘরের উপর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে নিমগাছটি । গোটা ঘরটি ধূলিস্যাৎ হয়ে গেলেও বধুর বুদ্ধির জোরে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পায় তিনটি জীবন । ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার ইংরেজবাজার পৌরসভার ২৩ নং ওয়ার্ডের জগন্নাথ কলোনি এলাকায় । কালবৈশাখীর মরশুমে ঘর হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন রিতা দাস নামে ওই গৃহবধু ।
জানা গেছে,জগন্নাথ কলোনির বাসিন্দা রিতা দাস বাড়ি বাড়ি পরিচারিকার কাজ করেন । তাঁর স্বামী রাজু দাস পেশায় শ্রমিক । একটি ঝুপড়ি ঘরের মধ্যে দুই শিশুসন্তানকে নিয়ে বসবাস করতেন ওই দম্পতি । অত্যন্ত হতদরিদ্র সংসার । রিতাদেবী বলেন, ‘এদিন ভোরের দিকে খুব ঝড়বৃষ্টি শুরু হয় । তবে তার আগেই স্বামী কাজে বেড়িয়ে যায় । দুই সন্তানকে নিয়ে আমি ঘরে ছিলাম । হঠাৎ গাছ ভেঙে পড়ার মত আওয়াজ শুনতে পাই । তখন তড়িঘড়ি আমি আমার দুই সন্তানকে ঘরের চৌকির নিচে ঢুকিয়ে দিই । তারপর আমি চৌকির নিচে ঢুকতে যাবো সেই সময় গাছসহ আমাদের ঘরটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে ।’
স্থানীয় সুত্রে খবর,প্রবল আওয়াজে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসে । এরপর তারা ঘরের ভিতরে চাপা পড়ে থাকা বধু ও তার দুই শিশুসন্তাকে উদ্ধার করে । পরে পাড়ার লোকজন মিলে গাছটিকে কেটে সরানোর ব্যবস্থা করে । ইংরেজবাজার পৌরসভার ২৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুজিত সাহা বলেন, ‘সকালেই ঘটনার কথা শুনেছি । তারপর ঘটনাস্থলে এসে দেখলাম কতটা ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে গেছে । ভগবানের কৃপায় প্রাণ ফিরে পেয়েছেন মহিলা ও তাঁর শিশুসন্তান । একেই বলে “রাখে হরি মারে কে” ।’ পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন,ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের ঘরটি কিভাবে মেরামতির ব্যবস্থা করা যায় তা দেখা হচ্ছে ।’।