জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,গুসকরা(পূর্ব বর্ধমান),০৭ জুন : এতদিন বিজেপির বিভিন্ন জন বিরোধী কাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন দলনেত্রী সহ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এবার কার্যত পুরো দলটাকেই তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে পথে নামিয়ে দিলেন। এব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশটা দলনেত্রী আগেই দিয়েছিলেন এবং নির্দিষ্ট তারিখটাও বলে দিয়েছিলেন । এবার দলনেত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী পথে নামল পূর্ব বর্ধমান জেলার গুসকরা শহর তৃণমূল কংগ্রেস ।
শহর সভাপতি তথা গুসকরা পৌরসভার চেয়ারম্যান কুশল মুখার্জ্জীর নেতৃত্বে ৬ ই জুন বিকেলে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের স্লোগানে কেঁপে উঠল গুসকরা শহর। আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে পেট্রোপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি জনিত কারণে সমস্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য বৃদ্ধি ও সংসার টানতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস ওঠা তো ছিলই এবং সঙ্গে একশ দিনের কাজে প্রাপ্য অর্থ দিতে কেন্দ্রীয় সরকারের টালবাহানার বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রসঙ্গত গ্রামীণ মানুষের আয় বাড়িয়ে গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার লক্ষ্যে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন প্রথম ইউ.পি.এ সরকার একশ দিনের কাজ প্রকল্পটি চালু করে। কিন্তু কাজ হওয়া সত্ত্বেও বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের প্রাপ্য অর্থ না দেওয়ায় রাজ্য সরকারের সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়ছে। তাই এই প্রতিবাদ।
কুশল মুখার্জ্জী ছাড়াও মিছিলে পা মেলান ভাইসম্যান বেলি বেগম সহ প্রতিটি কাউন্সিলর, কার্যকরী সভাপতি মলয় চৌধুরী, শহর যুব তৃণমূল সভাপতি উৎপল লাহা, শহর তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সভাপতি সৌম্যদ্বীপ চ্যাটার্জ্জী, মলি দাস, গণেশ পাঁজা, প্রবীণ তৃণমূল কর্মী গৌতম দাস সহ অসংখ্য তৃণমূল কর্মী। মিছিলে মহিলাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। যদিও প্রচন্ড গরমের জন্য প্রত্যাশা মত ভিড় হয়নি।
মিছিল শুরু হয় শহরের প্রাণকেন্দ্র বারোয়ারি তলা থেকে। তারপর স্কুলমোড়, মুসলিম পাড়া হয়ে মিছিল শেষে শহরের প্রধান দলীয় কার্যালয়ে। সেখানে কুশল বাবু এই মিছিলের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেন।
তিনি বলেন,’আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার বারবার পেট্রোল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের দাম বাড়িয়ে চলেছে। কিন্তু দাম কমলে উৎপাদন শুল্ক বাড়িয়ে দ্যায়। সম্প্রতি সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য উৎপাদন শুল্ক কমালেও পেট্রোলিয়াম জাত দ্রব্যের উপর ধার্য সেস কমায়নি। আবার সামনে ভোট থাকলে দাম একই রেখে দ্যায়। গ্রামীণ অর্থনীতিকে শেষ করে দেওয়ার লক্ষ্যে একশ দিনের কাজের টাকা পর্যন্ত আটকে রেখেছে। গ্রামীণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা না বাড়লে দেশের অর্থনীতির যে ভরাডুবি হবে সেই সহজ সত্যিটা তারা ইচ্ছাকৃত ভাবে ভুলে গিয়ে দেশের চরম সর্বনাশ করছে। তাই দলনেত্রীর নির্দেশে আজ আমরা এই মিছিল করেছি। আমাদের দাবি পেট্রোলিয়াম জাত দ্রব্যের দাম যেমন কমাতে হবে তেমনি একশ দিনের কাজের বকেয়া টাকা অবিলম্বে মিটিয়ে দিতে হবে। নাহলে আমরা বড় ধরনের আন্দোলনে নামবো ।।