এইদিন ওয়েবডেস্ক,কানপুর,০৭ জুন : উত্তরপ্রদেশের কানপুরে হিংসার ঘটনায় এযাবৎ ৩৮ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে । ৪০ জন পাথরবাজের পোস্টার সাঁটিয়েছে কমিশনারেট পুলিশ । আর তারপর থেকে গোপনে থানায় ফোন করে আসামিদের অবস্থান জানিয়ে দিচ্ছে সাধারণ মানুষ । এতে লুকানোর জায়গা সংকীর্ণ হয়ে যাওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে পাথরবাজরা । অভিযুক্তের মধ্যে এতটাই পুলিশের ভয় ঢুকে গেছে যে তারা নিজেরাই থানায় এসে আত্মসমর্পণ করতে শুরু করেছে । সোমবার গভীর রাতে কর্নেলগঞ্জ থানায় আত্মসমর্পণ করেছে এমনই এক ১৬ বছরের কিশোর । পুলিশ সুত্রে খবর,বেকনগঞ্জে বসবাসকারী ওই কিশোর ওইদিন হিংসার ঘটনায় যুক্ত ছিল । তার বড় ভাই ও জামাইবাবু গাম্মু খানকে ইতিপূর্বেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ । কিন্তু ওই কিশোর ঘটনার পর থেকে লুকিয়ে বেড়াচ্ছিল ।
গত ২৬ মে টিভি চ্যানেলে বিতর্কের সময় বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কানপুরের বেকেনগঞ্জে অবস্থিত ইয়াতীমখানায় জুমার নামাজের পর উভয় পক্ষের তুমুল পাথর ছোড়াছুড়ি হয় । পেট্রোল বোমা ছোড়া হয় । গুলিও চলে । এই হিংসার ঘটনার মাস্টার মাইন্ড হায়াত জাফর হাশমি সহ চার দুষ্কৃতীকে লখনউ থেকে গ্রেফতার করেছে কানপুর পুলিশ । মূল অভিযুক্ত
হায়াত জাফর হাশমি জোহর ফ্যান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি । সে ওইদিন সংগঠনের তরফ থেকে বাজার বন্ধের ডাক দিয়েছিল ।
জানা গেছে,অনান্য সম্প্রদায়ের ব্যবসায়ীরা দোকান খোলা রেখেছিল । কিন্তু জোর করে দোকান বন্ধ করতে গেলে ব্যাপক অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে । যদিও হায়াত জাফর হাশমির স্ত্রীর দাবি,ওইদিন রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উত্তরপ্রদেশ সফরে আসায় বন্ধের কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছিল ।
এদিকে তদন্ত প্রক্রিয়া যত এগুচ্ছে ততই চমকপ্রদ তথ্য সামনে আসছে । পুলিশ সুত্রে খবর,কানপুর হিংসায় পিএফআই-এর ষড়যন্ত্র প্রকাশ্যে এসেছে । বর্তমানে এটিএস দল তদন্ত শুরু করেছে ।।
প্রতীকী ছবি ।