আজিজুর রহমান,গলসি(পূর্ব বর্ধমান),০৬ জুন :
কাঠের সেতু পার হওয়ার সময়ে আচমকা পাল্টি খেয়ে দামোদরের জলে গিয়ে পড়লো বিয়ে বাড়ির যাত্রী বোঝাই চারচাকা গাড়ি। বরাত জোরে প্রাণে বেঁচে গেলেও চার যাত্রী গুরুতর জখম হয়েছেন।সোমবার দুপুরে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের গলসির চণ্ডীতলা এলাকায় । খবর পেয়ে গলসি থানার পুলিশ দুর্ঘটনাস্থলে পৌছায়।স্থানীয় মানুষ জনের সহায়তায় পুলিশ দামোদরের জল থেকে চালক সহ নয় যাত্রীকে উদ্ধার করে।চিকিৎসার জন্য জখম চার যাত্রীকে ভর্তি করা হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তাদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গিয়েছে। কিভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটলো তার তদন্ত পুলিশ শুরূ করেছে ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,গাড়িটি
গলসির আটপাড়া গ্রাম থেকে বাঁকুড়া জেলার মাদারমুনি গ্রামে একটি বিয়ে বাড়িতে যাচ্ছিল।
গাড়িতে চালক ছাড়াও বিয়ে বাড়ির আটজন যাত্রী ছিলেন।বাঁকুড়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে গলসির শিল্লা ও কাশপুরের মাঝামাঝি চন্ডিতলার কাছে দামদর নদের উপরে থাকা কাঠের অস্থায়ী সেতে ওঠে। ওই সেতুর উপর দিয়েই যাচ্ছিল যাত্রীবাহী গাড়িটি। তখনই আচমকা গাড়িটি পাল্টি খেয়ে দামোদরের জলে গিয়ে পড়ে। স্থানীয়দের অনুমান কাঠের সেতুর পাটাতে থাকা পেরেকে গাড়ির টায়ার পাংচার হয়ে গেলে চালক নিয়ন্ত্রণ হারান।তার ফলে যাত্রী সমেত গাড়িটি পাল্টি খেয়ে নদির জলে গিয়ে পড়ে ।তা দেখে কাছে পিঠের বালি ঘাটে থাকা শ্রমিকরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে গিয়ে জল থেকে যাত্রীদের উদ্ধার কাজ শুরু করে দেন। তারই মধ্যে গলসি থানার পুলিশও দুর্ঘটাস্থলে পৌছে যায় ।
বালি ঘাটটি যেহেতু বাঁকুড়া জেলার মধ্যে পড়ে তাই পাত্রসায়ের থানার পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌছে গিয়ে দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করে। চালক সহ যাত্রীদের সবাইকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় পুরসা হাসপাতালে।সেখান থেকে চার জখম যাত্রীকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে বালি তোলার যন্ত্রের সাহায্যে নদির জল থেকে পাড়ে তোলা হয় চার চাকা গাড়িটি ।।