এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),০৫ জুন : পরিচারিকাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিনের পর দিন সহবাস করেছিল তৃণমূল কর্মী । মহিলা অন্ত্বঃসত্তা হয়ে পড়লে তাকে জোর করে গর্ভপাত করানো হয় বলে অভিযোগ । শেষে নির্যাতিতা এনিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করলে চম্পট দিয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তি । ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ায় । এদিকে কাটোয়ার মণ্ডলহাটের অতুলবাগান এলাকার বাসিন্দা দিলীপ দেবনাথ নামে অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীর সন্ধান দিতে পারলে ১০০০ টাকা পুরষ্কার ঘোষণা করেছেন বিজেপির কাটোয়া সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদিকা সীমা ভট্টাচার্ষ । তিনি ওই তৃণমূল কর্মীর ছবিসহ এনিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন । ঘটনাকে ঘিরে শোড়গোল পড়ে গেছে এলাকায় । অন্যদিকে অভিযুক্ত দিলীপ দেবনাথের সঙ্গে দলের কোনো যোগ নেই বলে দায় এড়িয়ে গেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ।
জানা গেছে,দিলীপ দেবনাথের দু’টি রেস্তরাঁ রয়েছে । পাশাপাশি তিনি কাটোয়া বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি হোটেলের ম্যানেজারের কাজও করতেন । বছর আঠাশের নির্যাতিতা যুবতী দিলীপের বাড়িতে রাঁধুনী এবং পরিচারিকার কাজ করতেন । স্বামী পরিত্যক্তা ওই তরুনীর দুই নাবালক সন্তানও রয়েছে । সন্তানের নিয়ে কাটোয়ায় বাবা-মায়ের কাছে থাকেন তরুনী । সংসার চালানোর জন্য দিলীপ দেবনাথের বাড়িতে তিনি কাজে যোগ দিয়েছিলেন । আর সেই সুযোগে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দিলীপ ওই যুবতীর সঙ্গে দিনের পর দিন সহবাস করে বলে অভিযোগ ।
যুবতীর পরিবারের অভিযোগ, সহবাসের ফলে তরুনী অন্ত্বঃসত্তা হয়ে পড়লে সে দিলীপকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে । কিন্তু দিলীপ তার রাজনৈতিক প্রভাবের ভয় দেখিয়ে যুবতীর মুখ বন্ধ করে দেয় । এরপর যুবতীকে জোর করে কাটোয়ার এক নার্সিংহোমে ভর্তি করে গর্ভপাত করানো হয় ।
জানা গেছে,গর্ভপাতের পর ওই মহিলার অসুস্থ হয়ে পড়লে বাড়িতে ঘটনার কথা খুলে বলে । এরপর গত ২ জুন দিলীপ দেবনাথের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস,ভয় দেখিয়ে গর্ভপাত করানোর অভিযোগে মামলা রজু করেন নির্যাতিতা । কিন্তু রবিবার দুপুর পর্যন্ত অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীর কোনো হদিশ করতে পারেনি কাটোয়া থানার পুলিশ।
এদিকে বিজেপি নেত্রী সীমা ভট্টাচার্ষ ওই তৃণমূল নেতার ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে লিখেছেন,’সন্ধান চাই । তৃণমূল নেতা দিলীপ দেবনাথ(কালা)-এর খোঁজ দিতে পারলে বিজেপির পক্ষ থেকে ১০০০/- টাকা পুরষ্কৃত করা হবে । এটা পাবলিক করুন । কারন পুলিশ এর খোঁজ পাচ্ছে না ।’
এদিকে দলীয় এক কর্মীর এহেন কেলেঙ্কারী প্রকাশ্যে আসায় চরম অস্বস্তিতে পড়ে গেছে শাসকদল ।যদিও কাটোয়া-১ ব্লকের তৃণমূলের সহ-সভাপতি বিকাশ চৌধুরী বলেছেন,’অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে আমাদের দলের কোনো যোগ নেই । আইন আইনের পথে চলবে। পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিক ।’।