এইদিন ওয়েবডেস্ক,কুষ্টিয়া(বাংলাদেশ),০১ জুন : মা’কে বেঁধে রেখে কলেজ ছাত্রীকে আগ্নেয়াস্ত্রের ভয় দেখিয়ে বিয়ে করল সশস্ত্র দুষ্কৃতী । মঙ্গলবার রাতে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার কুমারখালী থানার অন্তর্গত পান্টি বাজার এলাকায় । ঘটনার মূল অভিযুক্ত পান্টি এলাকার মৃত ইব্রাহিম বিশ্বাসের নাতি তিতাশ (৪০) পলাতক ।
জানা গেছে,কুষ্টিয়া সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে চলতি বছর স্নাতক সম্পন্ন করেছেন ওই তরুনী । পান্টি বাজার এলাকাতেই তাঁদের বাড়ি । বাড়িতে রয়েছেন তরুনী ও তাঁর মা । অন্যদিকে তিতাশ নামে ওই দুষ্কৃতী বর্তমানে বরিশাল জেলায় থাকে । তরুনী বলেন, ‘প্রায় ৬ বছর আগে থেকে তিতাশ আমাকে বিয়ের কথা বলে আসছে । কিন্তু আমি রাজি হইনি ।’
তরুনীর মা বলেন,’মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে স্থানীয় ওয়াইফাই ব্যবসায়ী রোমান ও লাহোরীসহ কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে পিছন দরজা দিয়ে বাড়িতে ঢুকে পড়ে তিতাস । তাদের প্রত্যেকের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র, দা, ডাসা এবং দড়ি ছিল।তারা এসেই আমাকে বলে,’তোর মেয়েকে তিতাশের সাথে বিয়ে দিতে হবে। নাহলে মেরে ফেলা হবে।’ বিয়েতে রাজি না হলে ওরা প্রথমে আমাকে দড়ি দিয়ে বাঁধে । তারপর মেয়ের ঘরে নিয়ে যায় ।’
তরুনী বলেন,’মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এসে বিয়ের কথা বলে তিতাস । মাকে বেঁধে রেখে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে । আমার মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় । ভয়ে আমি কাবিননামায় সই করতে বাধ্য হই । সই করা হলে রাত দেড়টার দিকে ওরা চলে যায় ।’
তরুনীদের বাড়ির ভাড়াটিয়া রায়হান উদ্দিন জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা রোমান, লাহোরীসহ কয়েকজন মিলে তাঁর মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে একটা ঘরের মধ্যে আটকে রাখে । পরে জানতে পারা যায় আগ্নেয়াস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তরুনীকে বিয়ে করে পালিয়েছে তিতাস । তরুনীর মা জানিয়েছেন,তিনি এই বিয়ে মানেন না । ফের অন্যত্র মেয়ের বিয়ে দেবেন বলে তিনি জানান । কুমারখালী থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার জানিয়েছেন,অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।।