প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০১ জুন : ’হাম রহে – ইয়ে -না রহে কাল’। জনপ্রিয় শিল্পী কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ ওরফে কেকের জীবন খাতায় যেন গানের এই কথা গুলিই লেখা ছিল । মঙ্গলবার রাতে কলকাতার নজরুল মঞ্চে এই এই গানটি গেয়ে অনুষ্ঠান শেষ করে হটেলে ফিরেই সবাইকে আলবিদা জানান শিল্পী কেকে ।তাঁর এমন করে চলে যাওয়াটা সবার কাছেই ছিল অপ্রত্যাশিত।তাই শুধু এই বাংলা নয় গোটা দেশ জুড়ে ছড়িয়ে থাকা কেকে ভক্ত অনুরাগীরা শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েছেন । একই ভাবে শোকাতুর তাঁর বর্ধমান নিবাসী ভক্ত অনুরাগীরাও । তাঁরাও নিজের নিছের মত করে ব্রতি হয়েছেন কেকের আত্মার শান্তি কামনায় ।
কেকের বর্ধমানের সঙ্গে একটা আত্মিক টান ছিল । যোগাযোগও ছিল নিবিড়। তিনি ২০১৮ সালে বর্ধমান মেডিকেল কলেজের সোস্যালে ও ২০১৯ সালে বর্ধমানের কাঞ্চন উৎসব হাজির ছিলেন। হাজির ছিলেন তার অনবদ্য কণ্ঠ নিয়ে। তার গানে মুগ্ধ হয়ে যায় বর্ধমান শহরের প্রাচীন জনপদ কাঞ্চননগর।মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে গাওয়া গানের কথায় কি কেকের জীবন খাতায় লেখা ছিল ? এই প্রশ্নই
এখন ঘুরপাক খাচ্ছে বর্ধমানবাসীর মুখে মুখে ।
বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক খোকন দাসের উদ্যোগে প্রতিবছর কাঞ্চন উৎসবের আসর বসে।২০১৯ সালে অবশ্য খোকন দাস এলাকার কাউন্সিলর ছিলেন।তিনি বলেন,কেকের মৃত্যুতে কাঞ্চননগরের বাসিন্দারাতো বটেই গোটা বর্ধমান শহরের মানুষ আঘাত পেয়েছেন। হঠাৎ কেকের মৃত্যুর খবরে তিনিও হতবাক।বিধানসভা ঢোকার মুখে বিধায়ক খোকন দাস বলেন, ভাবতেও পারে নি কেকে এই ভাবে চলে যাবেন।কাঞ্চন উৎসবে তিনি গোটা এলাকার মানুষজনকে মাতিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর একের পর এক গানে সেদিন সন্ধ্যায় কাঞ্চননগরে জনজোয়ার তৈরি হয়।মানুষজন পাগলের মত উৎসব মাঠে ভিড় করেন কেকের গান শোনার জন্য।আজ আমার খুব কষ্ট হচ্ছে।কেকে ২০১৮ সালে বর্ধমান মেডিকেল কলেজের সোস্যালেও উপস্থিত ছিলেন গানের ডালি নিয়ে ।সেদিন কেকের মায়াবি কন্ঠে ভরা গান শোনার জন্য মাঠে ভীড় উপচে পড়ে ছিল ।।