এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাঁকুড়া,২৯ মে : বাঁকুড়ার গন্ধেশ্বরী নদীর পাড় ভেঙে বেড়িয়ে এল প্রাচীন গুপ্ত সুড়ঙ্গের মুখ । জানা গেছে,৫-৬ দিন আগে স্থানীয় কয়েকজন যুবক বাঁকুড়া শহরের সতীঘাট এলাকা থেকে প্রায় দু কিলোমিটার দূরে রাজারবাগানে ঘুরতে গিয়েছিল । তখনই ইট ও চুন সুরকিতে বাঁধানো ওই সুড়ঙ্গটি তাদের নজরে পড়ে । তাদের মধ্যে ধনঞ্জয় চৌবে নামে এক যুবক বলেন,’সুড়ঙ্গর রহস্য খুঁজে বের করার জন্য এই ক’দিন টানা দিনরাত আমরা খোঁড়াখুঁড়ি করেছি । কিন্তু সুড়ঙ্গ শেষ হয়নি । শনিবার সন্ধ্যায় প্রশাসনের লোকজন এসে আমাদের খোঁড়াখুঁড়ি বন্ধ করতে বলে । সুড়ঙ্গের মুখ পানা দিয়ে বুজিয়ে দিয়ে যায় । নিরাপত্তার জন্য কয়েকজন সিভিক ভলান্টিয়ারকে মোতায়েন করা হয়েছে ।’
জানা গেছে,সুড়ঙ্গটি চওড়ায় প্রায় আড়াই ফুট ও উচ্চতায় প্রায় সাড়ে তিন ফুট । গ্রামবাসীর প্রায় ২০ ফূট লম্বা পরিসরে মাটি সরানোর পরেই কাজ বন্ধ করে দেয় প্রশাসন । ফলে সুড়ঙ্গটি প্রকৃতপক্ষে কতটি লম্বা এবং কোন সময়কালে কি উদ্দেশ্যে নির্মান করা হয়েছিল তা স্পষ্ট নয় । এনিয়ে ব্যাপক কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায় । স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি আশপাশের এলাকা থেকে লোকজন ভিড় জমাচ্ছে সুড়ঙ্গ দেখার জন্য ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি,এলাকাটি এক সময়ে জঙ্গলে ঢাকা ছিল । আশপাশে কোনো জনবসতি ছিল । বৃটিশ আমলে তৈরি হয়েছিল ওই সুড়ঙ্গটি । বিপ্লবীরা সুড়ঙ্গে আত্মগোপন করত বলে দাবি তাদের । পাশাপাশি খোঁড়া ডাকাত নামে এক ডাকাতের নামও উঠে আসছে ওই সুড়ঙ্গকে ঘিরে । ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগকে দিয়ে সুড়ঙ্গ জরিপের কাজ করা হোক বলে দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা ।।