এইদিন ওয়েবডেস্ক,রংপুর(বাংলাদেশ),২৬ মে : মসজিদের ইমামের কাছে আরবি ভাষা শিখতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছিল ১০ বছরের এক শিশু । ওই ঘটনায় আতিকুল ইসলাম ওরফে আতিক হুজুর নামে ধর্ষক ইমামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল বাংলাদেশের রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-৩ এর বিচারক এম আলী আহাম্মেদ । কারাদন্ডের পাশাপাশি অভিযুক্তকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে অতিরিক্ত তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
আদালত সুত্রে খবর, রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলার ঘনিরামপুর ঝাকুয়া পাড়া গ্রামের ঝাকুয়াপাড়া নতুন মসজিদের ইমাম ছিলেন আতিকুল ইসলাম ওরফে আতিক হুজুর । অন্যদিকে মসজিদের কিছুটা পাশেই বাড়ি নির্যাতিতা শিশুটির । মেয়েটি রোজ সকালে অনান্যদের সঙ্গে মসজিদে যেত আতিক হুজুরের কাছে আরবি ভাষা শেখার জন্য । ঘটনার দিন অর্থাৎ ২০২০ সালের ৪ নভেম্বর সকাল ৭ টার দিকে যথারীতি সে মসজিদে গিয়েছিল । কিন্তু পড়া শেষে বাকিদের ছেড়ে দিলেও মেয়েটিকে আরও কিছুক্ষণ পড়ানোর বাহানায় আটকে রাখে আতিক হুজুর । তারপর ঘর ফাঁকা হয়ে গেলে সে শিশুটিকে ধর্ষণ করে ।
জানা গেছে,মেয়েটি যন্ত্রণা কাতরাতে থাকে । তখন আতিক হুজুর তাকে ধমকিয়ে চুপ করিয়ে দেয় । পাশাপাশি ঘটনার কথা বাড়িতে বললে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেখায় ধর্ষক ইমাম । সেই কারনে মেয়েটি বাড়ি ফিরে ভয়ে প্রথমে মুখ খোলেনি । কিন্তু তার প্রচন্ড রক্তক্ষরণ হতে থাকলে তখন বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে । এরপর শিশুটিকে প্রথমে তারাগঞ্জ হাসপাতালে পরে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । এদিকে ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা গুনধর ইমামকে আটকে উত্তম মধ্যম দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয় । পরে শিশুটির বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ । দু’বছর পর অবশেষে এই মামলার নিষ্পত্তি হল এদিন বৃহস্পতিবার । মামলায় সাক্ষী ছিল ১০ জন ।।