জয়দীপ মৈত্র,দক্ষিণ দিনাজপুর,২৬ মে : বেশ কিছুদিন ধরে তীব্র গরমের জেরে হাঁসফাঁস অবস্থা মানুষের । যদিও প্রায় দিনই বিকেলের দিকে কালবৈশাখীর ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে । তাতে সাময়িক স্বস্তি পেলেও পরে ফের যাকে তাই অবস্থা । পথ চলতি ঘর্মাক্ত মানুষ গরম থেকে খুঁজছেন সাময়িক স্বস্তি । তাই ঠান্ডা পানীয়ের পাশাপাশি চুমুক দিচ্ছেন ডাবের জলের গ্লাসেও । বগলদাবা করে নিয়ে যাচ্ছেন তরমুজ । ফলে তীব্র গরমের কারনে তরমুজ ও ডাবের চাহিদা বেড়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুরে । আর এই সুযোগে লাভের মুখ দেখছেন ফল ব্যাবসায়ীরাও ।
বৃহস্পতিবার দেখা গেল গঙ্গারামপুর শহরের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন হাইরোড থেকে শুরু করে গঙ্গারামপুর-তপন রাজ্য সড়কের পাশেই ফলের দোকানগুলিতে প্রচুর তরমুজ ও ডাব সাজানো রয়েছে । আর প্রতিটি দোকানেই ভিড়ে ঠাসা । গঙ্গারামপুরে ডাব বিক্রেতা পিন্টু সরকার জানান, গরম পড়তেই ডাবের চাহিদা বেড়ে যায়। এখন সেভাবে আগের মত ডাব পাওয়া যায় না । তাই অনেকটা বেশি দাম দিয়ে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ডাব কিনে আনতে হয়। বর্তমানে এক একটি ডাব ৪০-৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে৷ ডাবের যোগান দিয়ে গিয়ে হিমসিম খেতে হচ্ছে বলে পিন্টুবাবু জানিয়েছেন । তবে গঙ্গারামপুর শহরে ডাবের যোগান কম থাকলেও স্থানীয় এলাকার চাষিদের কাছ থেকেই মিলছে তরমুজ । বিক্রি হচ্ছে ১০-২০ টাকা কেজি দরে । বিক্রিও হচ্ছে দেদার । ফলে বিক্রেতাদের পাশাপাশি লাভের মুখ দেখছেন চাষিরাও ।
প্রসঙ্গত, বিগত দু’বছর করোনার বিধিনিষেধের কারনে লাটে উঠেছিল সমস্ত ব্যবসা । সমস্ত স্তরের ব্যবসায়ীরা কার্যত বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন । বিশেষ করে ছোটখাটো ব্যবসায়ী ও প্রান্তিক চাষিদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাটাই কার্যত চ্যালেঞ্জ হয়ে গিয়েছিল । সেই খড়া কাটিয়ে অবশেষে স্বাভাবিক ছন্দের ফিরে এসেছে জীবন । ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছেন খেটে খাওয়া প্রতিটি মানুষ ।।