এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভাতাড়,০৪ জানুয়ারী ঃ ভিন ধর্মে বিয়ে মেনে নেয়নি বর ও বধুপক্ষের পরিবারের লোকজন । ফলে শ্বশুরবাড়িতে ঠাঁই হয়নি ফিরোজা খান(দে) নামে এক বধুর । এদিকে স্বামী কৃষাণু দেরও কোনও হদিশ নেই । তাই স্বামীকে ফিরে পেতে শ্বশুরবাড়ির দরজার সামনে ধর্ণায় বসলেন নব পরিণীতা বধু ফিরোজা । সোমবার ভাতার থানার কালিপাহাড়ি গ্রামে শ্বশুরবাড়ির সামনে দিনভর ঠায় বসে থাকতে দেখা গেল ওই বধুকে । এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায় ।
জানা গেছে, ফিরোজা খান(দে) নামে ওই বধূর বাপেরবাড়ি কলকাতার গড়িয়াহাট এলাকায় । কালিপাহাড়ি গ্রামের বাসিন্দা কৃষাণু দের সঙ্গে মাস দশেক আগে ফেসবুকে তাঁর আলাপ থেকে প্রেম । ফিরোজা জানিয়েছেন,মাসদুয়েক আগে তাঁরা কালীঘাট মন্দিরে গিয়ে হিন্দু মতে বিয়ে করেন । কিন্তু এই বিয়েতে মত দেয়নি দুই পরিবারের লোকজন । ফলে বাধ্য হয়ে তাঁরা কলকাতায় ঘরভাড়া করে ছিলেন ।
তিনি বলেন, ‘কয়েকদিন আগে আমার স্বামী বলেছিলেন মায়ের শরীর খারাপ । তাই মাকে দেখতে বাড়ি যেতে চায় । তাই আমি গত ৩১ ডিসেম্বর আমার স্বামীকে সঙ্গে করে শ্বশুরবাড়িতে আসি । কিন্তু আমাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি । তাই তখনকার মত আমি ফিরে চলেও যাই । কারন আমি আশা করে ছিলাম একদিন বোঝাপড়া হয়ে যাবে । তখন শ্বশুরবাড়ি ফিরে আসবো । এদিকে গত পাঁচ দিন ধরে আমার স্বামীর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করতে পারছি না ।’ বধুর অভিযোগ, ‘কৃষাণুকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে । আমার সামনে আসতে দেওয়া হচ্ছে না।’
জানা গেছে,এদিন ফিরোজা খান(দে) নামে ওই বধূ কলকাতা থেকে এসে কালিপাহাড়ি গ্রামে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধর্ণায় বসে পড়ে স্বামীকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানাতে থাকেন । যদিও তাঁর স্বামী কৃষাণু দে’কে এলাকায় দেখা যায়নি।
কৃষাণুর বাবা চন্দ্রশেখর দের দাবি,” আমার ছেলে বাড়ির অমতে ও বাড়িতে না জানিয়েই এই বিয়ে করেছে । এই বিয়ে মানি না । আমার ছেলে প্রাপ্তবয়স্ক । তাকে বাধা দিতেও চাইনা । তবে ছেলেকে বলেছি বাড়িতে জায়গা হবে না । তারপর সে কোথায় গিয়েছে আমার জানা নেই। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ,’ছেলেকে ভালো চাকরি দেওয়ার টোপ দিয়ে ডেকে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছে ওই মহিলা ।পাশাপাশি ফিরোজার আগেও একবার বিয়ে হয়েছিল বলে শুনেছি ।’ যদিও ফিরোজার দাবি, ‘এসব মিথ্যা অভিযোগ। আমার স্বামীকে সবার সামনে নিয়ে আসুক তাহলে সব সত্য সামনে আসবে ।”।