এইদিন ওয়েবডেস্ক,মঙ্গলকোট,০৪ জানুয়ারী ঃ কিছুতেই বাগে আনতে পারছিল না বনদপ্তরের কর্মীরা । শেষে দস্যি বানরকে কব্জায় আনতে ছোড়া হল ঘুমপাড়ানি গুলি । সোমবার কাটোয়া ও বর্ধমানের বনদফতরের দল প্রায় তিন ঘন্টার প্রচেষ্ঠায় মঙ্গলকোট থানার চৈতন্যপুর গ্রামে আতঙ্ক সৃষ্টিকারী বীর হনুমানটিকে কাবু করতে সক্ষম হয় । পরে হনুমানটিকে খাঁচাবন্দি করে বর্ধমান রমনাবাগানে নিয়ে যাওয়া হয় । এদিকে ‘মূর্তিমান এই আপদ’ বিদায় হওয়ায় খুশি গ্রামবাসীরা ।
দিন দশ-বারো আগে চৈতন্যপুর গ্রামে আবির্ভাব হয় ওই পুরুষ হনুমানটির । তারপর থেকে সে গ্রাম জুড়ে কার্যত দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল । পথচারীদের হাত থেকে শাকশব্জিসহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী কেড়ে খেত হনুমানটি । ইদানিং সে চরম আক্রমনাত্মক হয়ে উঠেছিল । তার হামলায় জখম হয়েছেন ৮-১০ জন গ্রামবাসী । আহতদের মধ্যে কয়েকজন মহিলাও রয়েছেন বলে জানা গেছে ।
শেষে গ্রামবাসীরা মঙ্গলকোট থানা ও কাটোয়া বনদপ্তরের দ্বারস্থ হন । গত শনিবার বনদফতরের কর্মীরা চৈতন্যপুর গ্রামে গিয়ে ফাঁদ পেতে হনুমানটিকে ধরার চেষ্টা করেন । কিন্তু যতবার খাবারের টোপ দেওয়া হয়েছিল ততবারই সেই টোপ নিয়ে চম্পট দেয় ধূর্ত হনুমানটি । ওইদিন সে বনদপ্তরের কর্মীদের কার্যত নাকানিচোবানি খাইয়ে দেয় । শেষ পর্যন্ত বনদপ্তরের কর্মীদের বিফল হয়ে ফিরে যেতে হয় ।
এরপর এদিন সকালে ফের চৈতন্যপুর গ্রামে আসেন বনদপ্তরের কর্মীরা । শেষ পর্যন্ত বর্ধমান ও কাটোয়া বনদফতরের কর্মীদের যুগ্ম প্রচেষ্ঠায় ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে হনুমানটিকে বেহুঁশ করে খাঁচাবন্দি করা হয় । কাটোয়া মহকুমা বন আধিকারিক সুকান্ত ওঝা জানিয়েছেন,হনুমানটিকে বর্ধমানের রমনাবাগানে পাঠানো হয়েছে । সেখানেই তার চিকিৎসা হবে ।।