প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৩ মে : রেললাইনের ধারে আলাদা আলাদা ঝুপড়ি ঘরে থকতো দুই যুবক। কেউ ঘুণাক্ষরেরও টের পায়নি ওই যুবকরা আসলে দাগী অপরাধী।তবে তাঁরা এলাকাবাসীর চোখে ধুলো দিয়ে থাকতে পারলেও পুলিশের চোখ এড়িয়ে বেশিদিন থাকতে পারেনি।পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার পুলিশ হওড়া- বর্ধমান কর্ড শাখার ঝাপানডাঙ্গা রেল স্টেশন লাগোয়া ঝুপড়িতে হানা দিয়ে দুই দুস্কৃতিকে গ্রেপ্তার করেছে ।
পুলিশ জানিয়েছে ,ধৃতরা হল ইমান হোসেন মোল্লা ওরফে রাজা এবং তপন দাস । ধৃতদের মধ্যে ইমানের আদি বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর থানার বাহেরা গ্রামে । তপনের নদীয়া জেলার শান্তিপুর থানার বাগদিয়া গ্রামের বাসিন্দা । দু’জনেই ঝাপানডাঙ্গার রেল স্টেশনের ধারে ঝুপড়িতে থেকে অপরাধমূলক কাজকর্ম চালাচ্ছিল । পুলিশের দাবী দুই ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর চোরাই সামগ্রী,গহনা, আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ । নিরীহ সেজে থাকা ঝুপড়িবাসী যুবকদের এই কীর্তির কথা জেনে স্তম্ভিত ঝাপানডাঙ্গার বাসিন্দারা ।
বর্ধমান দক্ষিণের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক (এসডিপিও ) সুপ্রভাত চক্রবর্তী সোমবার জানিয়েছেন,ঝাপানডাঙ্গা রেল স্টেশনের ধারে ঝুপড়িতে থাকতো ইমান হোসেন মোল্লা ও তপন দাস । তাঁরা যে অপরাধ জগতের সঙ্গে যুক্ত তা এলাকার কেউ ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি । সম্প্রতি জামালপুর থানার পুলিশ গোপন সূত্রে ওই যুবকদের অপরাধ মূলক কাজে জড়িত থাকার কথা জানতে পারে।ঝুপড়িতে হানা দিয়ে পুলিশ প্রথমে ইমান হোসেন মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে । তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ জানতে পারে অপরাধমূলক কাজে ইমানের সঙ্গী হল ঝাপানডাঙ্গায় রেল লাইনের ধারে অপর ঝুপড়িতে বসবাস করা যুবক তপন দাস । পুলিশ তাঁকেও গ্রেপ্তার করে ।
এসডিপিও জানিয়েছেন,দুই ধৃতকে পুলিশি হেপাজতে নিয়ে তাঁদের ডেরায় তল্লাশী চালানো হয় । তল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছে দামী মিউজিক সিস্টেম ,কম্পিউটার সামগ্রী ,দুটি মোবাইল ফোন, বেশ কিছু গহনা,এক রাউণ্ড কার্তুজ সহ একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও একটি চোরাই মোটর বাইক । ধৃতদের অপরাধ চক্রের জাল কতদূর বিস্তৃত রয়েছে এবং তাঁদের সঙ্গে আর কারা কারা যুক্ত রয়েছে সেই বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখছে । তদন্তের প্রয়োজনে দুই ধৃতকে ফের পুলিশি হেপাজতে নেওয়া হতে পারে বলে এসডিপিওর কথায় ইঙ্গিত মিলেছে ।।