এইদিন ওয়েবডেস্ক,লক্ষ্ণৌ,২৩ মে : উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর জ্ঞানবাপী সমীক্ষা চলাকালীন শিবলিঙ্গ খুঁজে পাওয়ার পরে সমাজবাদী পার্টির মহিলা নেত্রী রুবিনা খানম (Rubina Khanum) মন্তব্য করেছিলেন, মুসলিম সম্প্রদায়, ধর্মীয় নেতা এবং ওলামাদের উচিত বিতর্তিক ওই জায়গাটি হিন্দুদের হস্তান্তর করা । আর তারপরেই রুবিনাকে আলীগড় মহানগরের মহিলা শাখার সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে দল । দলের এই ব্যবহারে অসন্তুষ্ট হয়ে শেষ পর্যন্ত তিনি দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন । রবিবার দল থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর রুবিনা খানম বলেন, ‘আমি বলেছিলাম যদি দাবি সঠিক প্রমানিত হয় তাহলে জ্ঞানবাপী মসজিদ কমপ্লেক্স হিন্দু ভাইদের হস্তান্তর করা হোক । কারন প্রাচীন কালে কোনো শাসক মন্দির ভেঙে ওই মসজিদটা নির্মান করিয়েছিল ৷ জাতীয় স্বার্থে আমার দেওয়া এই সত্যি কথাটা সমাজবাদী পার্টি গ্রহণ করতে পারেনি । সত্য বলার জন্য আমাকে শাস্তি দিয়েছে । সুতরাং এসপির সাথে থাকার কোন মানে হয় না । তাই আমি দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করেছি ।’
রুবিনা বলেন, “আমি এমন কোনো দলে থাকতে চাই না যেখানে আমি সত্য কথা বলতে পারব না, দেশের কথা বলতে পারব না । আমার কাছে যে চিঠি এসেছে তাতে আমাকে বলা হয়েছে শৃঙ্খলাহীন । মুসলমানদের পাশাপাশি হিন্দুদের নিয়ে কথা বলাটা শৃঙ্খলাহীন হয়ে গেল ? যদি এটাই নিয়মানুবর্তিতা হয়, আমি বারবার এই কাজ করব। আজ পদ থেকে অপসারিত, আগামীকাল দল থেকে বহিস্কার করা হবে । এমন দলে থাকা অসম্ভব ।’
রুবিনা খানম অখিলেশ যাদবের নেতৃত্বাধীন দলকে “হিন্দু-বিরোধী, নারী-বিরোধী এবং তোষনের রাজনীতিতে লিপ্ত একটি দল” বলেও অভিহিত করে বলেন, ‘“যে পার্টিতে পুত্রবধূ অপর্ণা যাদবকে সম্মান করা হয় না, সেখানে আমি কীভাবে সম্মান পাবো ? এটা ঠিক যে আগে আমি তোষণের রাজনীতি করতাম। কিন্তু পরে আমার আত্মা কেঁপে উঠেছিল । যখন আমি বিষয়টি অনুভব করলাম তারপর থেকে আমি সারা দেশের কথা বলতে শুরু করি । আমি জাতীয়তাবাদ এবং সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধার কথা বলেছিলাম বলে এসপি আমাকে পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে । এটাই এসপির আসল চেহারা ।’
প্রসঙ্গত,রুবিনা খানম ইতিপূর্বে অনেক বিতর্কিত বক্তব্য দিয়েছেন । গত ফেব্রুয়ারীতে হিজাব বিতর্কের সময় রুবিনা বলেছিলেন,’যারা হিজাবে হাত দেবে তাদের হাত কেটে ফেলব ।’ এপ্রিলের মাঝামাঝি লাউডস্পিকার বিতর্ক নিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘মুসলিমদের বিরক্ত করবেন না। আমাদের ধর্মে হস্তক্ষেপ করবেন না । আমরা (মুসলিম মহিলারা) চুড়ি পরে বসে নেই । আমরা হাজার হাজার সংখ্যায় আপনার মন্দিরের বাইরে বসে লাউডস্পিকারে কোরআন পাঠ করব ।’।