জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,মঙ্গলকোট (পূর্ব বর্ধমান),২২ মে : একদিকে এসএসসি নিয়ে দূর্নীতির ফাঁস আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে ফেলছে তৃণমূলের বেশ কয়েকজন প্রথম সারির নেতা-মন্ত্রীকে । অন্যদিকে ২০১৮ এর পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া দুঃস্বপ্ন এখনো তাড়িয়ে বেড়ায় তৃণমূলের শীর্ষস্তরের নেতা-নেত্রীদের। এই আবহে দুয়ারে হাজির আর একটা পঞ্চায়েত নির্বাচন । দলনেত্রীর ইঙ্গিত বছরের শেষেই হতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই পরিস্থিতিতে ঘর গোছানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। জেলায় জেলায় প্রশাসনিক বৈঠকের শেষে বুথ স্তরের কর্মীদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন দলনেত্রী স্বয়ং। এদিকে স্থানীয় বিধায়করা দলীয় কর্মীদের নিয়ে প্রতিটি অঞ্চলে শুরু করেছে পঞ্চায়েতের প্রস্তুতি । পিছিয়ে নেই পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট ব্লকও ।
স্থানীয় বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরীর নেতৃত্বে এবং পঞ্চায়েত সমিতির জনস্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ মেহেবুব চৌধুরী, পূর্ত দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ রেজাউল হক, মঙ্গলকোট পঞ্চায়েতের উপ প্রধান শান্ত সরকার, তৃণমূল নেতা লাল্টু সেখ প্রমুখের উপস্থিতিতে ২২ শে মে রবিবার গণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে চাণক অঞ্চলের তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি সভা । উপস্থিত ছিলেন অঞ্চল সভাপতি রমজান সেখ, অঞ্চলের সকল পঞ্চায়েত সদস্য, প্রতিটি বুথ সভাপতি সহ অসংখ্য তৃণমূল কর্মী । মহিলা কর্মীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত।
‘আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে জিততেই হবে, তবে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের মত গায়ের জোরে নয় ভোটের মাধ্যমে এবং মমতা ব্যানার্জ্জীর উন্নয়নকে সামনে রেখে’,সভায় প্রতিটি বক্তার এটাই ছিল মূল সুর।
বিগত বিধানসভা বা লোকসভা ভোটে বিরোধী বিজেপির থেকে শুধু পেছিয়ে যাওয়া নয় আরও বিভিন্ন কারণে অঞ্চল সভাপতির প্রতি প্রচ্ছন্ন ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় স্থানীয় বিধায়ককে। তার বক্তব্য, ‘ যারা আমাদের ভোট দিয়েছে এবং যারা দেয়নি তাদের প্রত্যেকেই আমাদের সরকারের উন্নয়নের সুফল পেয়েছে । তারপরও কার দোষে এই অঞ্চলে আমরা বারবার হেরে যাচ্ছি ?’ তিনি বলেন, ‘মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে এবার আমাদের জিততে হবে ।’ পাশাপাশি প্রতিটি কর্মীকে মানুষের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন বিধায়ক ।।