এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়া দিল্লি,২২ মে : কাশীর জ্ঞানবাপী বিতর্কের মাঝেই কুতুব মিনার নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়ে গেছে । শনিবার কেন্দ্রীয় তথ্য মন্ত্রকের আধিকারিকরা মিনার চত্বর পরিদর্শন করেন । সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দাবি করা হচ্ছে কুতুব মিনার কমপ্লেক্সে খনন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় । যাতে কুতুব মিনারে মূর্তিগুলোর আইকনোগ্রাফি করা যায় । তাই সংস্কৃতি দফতর এই উদ্দেশ্যে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়াকে (এএসআই) নির্দেশও জারি করেছে । তবে এই দাবি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন । কারন এযাবৎ আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (এএসআই) দিল্লি বিভাগ খনন এবং অধ্যয়নের বিষয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রকের কাছ থেকে লিখিতভাবে কোনও নির্দেশ পায়নি বলে জানা গেছে । তবে এটা সত্যি যে শনিবার তথ্য মন্ত্রকের (Ministry of Culture) সচিব গোবিন্দ মোহনের নেতৃত্বে ১২ জনের একটি দল কুতুব মিনার চত্বর পরিদর্শন করেছেন ।
প্রসঙ্গত,কুতুব মিনার হল ইটের তৈরি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু মিনার । এর উচ্চতা ৭২.৫ মিটার । কেন্দ্রীয় পর্যটন বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কুতুব মিনারটি কুতুবউদ্দিন আইবক ১১৯৩ সালে দিল্লির শেষ হিন্দু রাজ্যকে পরাজিত করার পরে তৈরি করেছিলেন। কুতুব মিনার কমপ্লেক্সের কুওয়াত-উল-ইসলাম (ইসলামের আলো) মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল ১১৯৩ এবং ১১৯৭ এর মধ্যবর্তী সময়ে ।
যদিও এএসআইয়ের প্রাক্তন অধিকারিক ধরমবীর শর্মা বলেছিলেন, কুতুব মিনার তৈরি হয়েছিল রাজা বিক্রমাদিত্যের আমলে। তিনি সূর্যের আলো দেখে দিক নির্ধারণ করার জন্য নির্মান করিয়েছিলে এই মিনারটি । এছাড়াও ওই চত্বর থেকে কৃষ্ণ, গণেশ-সহ বেশ কিছু দেবদেবীর মূর্তি পাওয়া গিয়েছে বলে তিনি দাবি করেছিলেন ।
কাশীর জ্ঞানবাপী মসজিদে কথিত ‘শিবলিঙ্গ’ পাওয়া যাওয়ার পর কুতুব মিনার কমপ্লেক্সে খনন করার দাবি জোরালো হয়েছে। হিন্দু সংগঠনগুলোর দাবি, চত্বরের বিভিন্ন স্থানে অনেক মূর্তি রাখা আছে । গত ১০ মে একটি হিন্দু সংগঠনের সদস্যরা এই কমপ্লেক্সের কাছে হনুমান চালিসা পাঠ করে । তারা কুতুব মিনারের নাম পরিবর্তন করে ‘বিষ্ণু স্তম্ভ’ করার দাবি জানিয়েছিলেন । তাদের তরফ থেকে আরও দাবি করা হয়, ২৭ টি হিন্দু মন্দির ধ্বংস করে তৈরি করা হয়েছিল কুতুব মিনারটি ।।