এইদিন ওয়েবডেস্ক,গুয়াহাটি,২২ মে : স্থানীয় এক ব্যক্তির পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগ তুলে থানায় চড়াও হয়ে পুলিশ কর্মীদের মারধর ও থানায় অগ্নিসংযোগ করেছিল উন্মত্ত জনতা । ওই ঘটনায় পুলিশ সদস্য আহত হয়েছিলেন । এযাবৎ ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । অসমের নগাঁও (Nagaon) জেলার বাটাদ্রবা থানার(Batadraba Police Station) ওই ঘটনার পর ৫ অভিযুক্তের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন ।
জানা গেছে,নিহত ব্যক্তির নাম সফিকুল ইসলাম । পেশায় ব্যবসায়ী সফিকুলের বাড়ি ধিংয়ের(Dhing) এলাকার সালনাবাদি(Salnabadi) গ্রামে । মৃতের স্ত্রীর অভিযোগ, তাঁর স্বামী গত শুক্রবার ব্যবসায়িক কাজে শিবসাগরে (Sivasagar) যাচ্ছিলেন । সেই সময় তাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যায় বাটাদ্রবা থানার পুলিশ । রাত্রি প্রায় ১০ টা নাগাদ তাঁর স্বামীকে থানায় নিয়ে যাওয়ার পর থানার আইসি বাড়ির মোবাইলে ফোন করে । স্বামীকে ছেড়ে দেওয়ার শর্ত হিসাবে একটি হাঁস নিয়ে যেতে বলে আইসি । সেই মোতাবেক তিনি পরের দিন সকালে ঘুঁষ হিসাকে একটি হাঁস নিয়ে থানায় গিয়েছিলেন । কিন্তু তার পরেও পুলিশ ১০ হাজার টাকা অতিরিক্ত ঘুঁস দাবি করে বলে নিহতের স্ত্রীর অভিযোগ ।
নিহত সফিকুল ইসলামের পরিবারের অভিযোগ, পরে পুলিশের শর্তমত বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে বাটাদ্রবা থানায় আসে পরিবারের সদস্যরা । তখন পুলিশ জানায় সফিকুলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । এরপর তারা হাসপাতালে ছুটে গেলে ওই যুবককে হাসপাতালের মর্গে পড়ে থাকতে দেখে ।
জানা গেছে,পরিবারের সদস্য ও গ্রামবাসীরা মৃতিদেহ হাসপাতাল থাকে থানার সামনে ফেলে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে । তারই মাঝে ক্ষিপ্ত জনতা পুলিশ কর্মীদের মারধরের পাশাপাশি থানায় আগুন ধরিয়ে দেয় ।
রবিবার এনিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন স্পেশাল ডিজিপি জিপি সিং । তিনি জানান,শফিকুল ইসলামের কথিত পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর তদন্ত করার জন্য ডিআইজি, নগাঁও এসপিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । পাশাপাশি শনিবার( ২১ মে) বাটাদ্রবা থানায় (Batadraba police station) হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (এসআইটি) গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিজিপি । নগাঁও পুলিশ সুপার লীনা ডলি জানান, বাটাদ্রবা থানার পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলির পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত হবে । দোষী প্রমাণিত হলে যে কোনও অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি ৷।