এইদিন ওয়েবডেস্ক,নরসিংদী,২২ মে : বিয়ে বাড়িতে খাবারে টান পড়ার কারনে বচসা থেকে সংঘর্ষে জড়াল বর ও কনেপক্ষের লোকজন । এই ঘটনায় দুই পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে । শেষ পর্যন্ত বিয়ে ভেস্তে যায় । ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের পূর্ব হরিপুর গ্রামে । খবর পেয়ে রায়পুরা থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে । সংঘর্ষে জখমদের উদ্ধার করে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় পুলিশ । প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় ।
জানা গেছে,পূর্ব হরিপুর গ্রামের এক ব্যক্তির মেয়ের সঙ্গে মাহমুদপুর গ্রামের আতাউর রহমান নামের এক ব্যক্তির ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল ৷ উভয়ের পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ে ঠিক হয়। শুক্রবার ছিল বিয়ের দিন ৷ ওই দিন দুপুর নাগাদ বরপক্ষের লোকজন কনেবাড়িতে যায় । বেলা ৩টার দিকে বরপক্ষের লোকজনকে দুপুরের খাবার খেতে দেওয়া হয় । কিন্তু টান পড়ে যায় খাবারে । আর তা নিয়ে তুমুল তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়ে বর-কনে পক্ষের লোকজন । বচসার মাঝেই অপরিষ্কার প্লেটে খেতে দেওয়ার অভিযোগ তুলে বরের বাবা আতাউর রহমান তাঁর খাবারের প্লেট কনের বাবার গায়ে ছুড়ে দেয় । ফলে বিষয়টি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে । দু’পক্ষের লোকজনের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বেধে যায় । হাতের কাছে ঘটি,বাটি,বালতি,চেয়ার যে যা পেয়েছে তা একে অপরের দিকে ছুড়ে মারতে শুরু করে । স্থানীয় লোকজনও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে । এই ঘটনায় দুই পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয় । পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে । শেষে বিয়ে না করেই বাড়ি ফিরে যায় বর ।
কনে পক্ষের অভিযোগ,১০০ জন বরযাত্রী নিয়ে আসার কথা ছিল । সেই রকমেই আয়োজন করা হয়েছিল । কিন্তু ১৫০ জনকে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিল বর । আর এই কারনেই খাবারের টান পড়েছিল । নতুন করে খাবার তৈরি হচ্ছিল । কিন্তু বরপক্ষের লোকজন কটু কথা বলতে শুরু করে । প্রতিবাদ করলে অশান্তি বেধে যায় । অন্যদিকে বেশি লোক নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বরের বাবা আতাউর রহমান ৷ তাঁর কথায়, ‘আমাদের ১০০ জনের নিচে লোক ছিল । কিন্তু কনেপক্ষ আমাদের খেতে বসিয়ে অসম্মান করেছিল । প্রতিবাদ করায় উলটে ওরা আমাদের মারধর শুরু করে । তাই ছেলের বিয়ে না দিয়েই বাড়ি ফিরে আসি ।’ যদিও এই ঘটনায় কোনো পক্ষই এনিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি বলে জানিয়েছেন রায়পুরা থানার এসআই রাকিবুল ইসলাম ।।