দিব্যেন্দু রায়,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),২০ মে : শৌচাগারে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের এক রোগী । মৃতের নাম সঞ্জীব পাল(৪২) । মঙ্গলকোটের বনকাপাসি গ্রামে তাঁর বাড়ি । বৃহস্পতিবার তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল । এদিন শুক্রবার সন্ধ্যায় হাসপাতালের শৌচাগারে গিয়ে গলায় গামছার ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন ওই ব্যক্তি । ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতাল চত্বরে ৷ জানা গেছে,সঞ্জীব পালের বাড়িতে রয়েছেন স্ত্রী দেবিকা পাল এবং নাবালক সন্তান সূর্য । সূর্য ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র । সঞ্জীববাবু গৃহশিক্ষকতা করে তিন জনের সংসার চালাতেন । অভাবের সংসার ।
দেবিকাদেবী বলেন,’আমার স্বামী কিছুদিন ধরে মানসিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন । চিকিৎসা চলছিল । বৃহস্পতিবার আমার স্বামী বেশ কিছু নার্ভের ওষুধ খেয়ে ফেলেছিলেন । তারপর উনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে কাটোয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । আমি স্বামীর দেখভালের জন্য হাসপাতালেই ছিলাম । এদিন সন্ধ্যাতেও বেডে বসে দু’জনে গল্প করেছি । তখনও ওনার অভিসন্ধি বুঝতে পারেনি । সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ আমার সামনে দিয়েই উনি শৌচাগারে গিয়েছিলেন । বেশ কিছুক্ষন ধরে ফিরছে না দেখে তখন আমার সন্দেহ হয় । গিয়ে দেখি উনি শৌচাগারের সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলছেন ।’
জানা গেছে,শৌচাগারে যাওয়ার আগে মুখে একটি গামছা জড়িয়ে গিয়েছিলেন সঞ্জীব পাল । আর ওই গামছা দিয়েই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি । পরে পুলিশ এসে তাঁকে গামছা কেটে নামিয়ে জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন । মর্মান্তিক এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ পরিবার ।।