এইদিন ওয়েবডেস্ক,ঝাড়গ্রাম,১৯ মে : রাজ্যে সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজ হয়ে গেছে বলে দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বৃহস্পতিবার কর্মী সম্মেলনে যোগ দিতে ঝাড়গ্রামে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী । কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখার সময় তিনি বলেন, ‘নেতাইয়ে যাতায়তের রাস্তা ছিল না । লালগড় দিয়ে নেতাই যেতে হত । এখন লালগড়ে নার্সিং কলেজ হয়েছে৷ কলেজ হয়েছে । বাজার হয়েছে । রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হয়েছে । সেতুও তৈরি হয়েছে । ঝাড়গ্রামের স্টেডিয়াম হয়েছে৷ নয়াগ্রামে স্টেডিয়াম হয়েছে৷ ঝাড়গ্রামে মেডিকেল কলেজ হয়েছে । ঝাড়গ্রামে বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে । কি হয়নি ? সব কিছু করে দিয়েছি । ট্যুরিজমের উপরে যতটা কাজ বাকি আছে আমরা আস্তে আস্তে করে দেবো । বাকিটা কি আছে ?’
মুখ্যমন্ত্রী বলেন,’আজ বিনা পয়সায় রেশন পান । মা বোনেরা লক্ষ্মীর ভান্ডার পাচ্ছেন । যার এখনও বাকি আছে ২১ থেকে ৩১ মে দূয়ারে সরকারে নাম লেখাবেন ৷ পৌনে দু’কোটি মহিলাকে ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়ে গেছে । স্বাস্থ্য সাথী কার্ড পেয়েছেন ? না পেলে গিয়ে নাম লেখাবেন । কৃষক বন্ধু প্রকল্পে এক একর জমি আছে যাদের তারা ১০ হাজার করে টাকা পাচ্ছেন ৷’
বাম রাজত্বের প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগে স্কুলের ছেলেমেয়েদের জামা কাপড় বাইরে থেকে আনা হত ৷ আমার ঘরে যেখানে লক্ষ্মী-সরস্বতী- দূর্গা-জাহানারা আছে,আমি বাইরে থেকে কেন আনতে যাবো ? আমি এখানকার তাঁতি ও স্বয়ংভর গোষ্ঠীকে দিয়ে করাবো ৷ আমি এখানকার মা-বোন-ভাইদের দিয়ে পোশাক তৈরি করাবো । তাতে রোজগার বাড়বে । তাই আগামী ৩ বছরের স্কুলের পোশাক বাংলায় তৈরি করার অর্ডার দিয়েছি ।’ তিনি আরও বলেন, ‘আগে ডিম আসত বাইরে থেকে । হায়দ্রাবাদ থেকে ডিম আর মাছ আসত । আর নাসিক থেকে পেঁয়াজ আসত । বাংলার নিজস্বতা বলে কিচ্ছু ছিল না । এখন মূর্শিদাবাদ, বীরভূম,মেদিনীপূর, ঝাড়গ্রামে পেঁয়াজ উৎপাদন হচ্ছে । এমনকি ড্রাগন ফলও ঝাড়গ্রামে হচ্ছে ।’
এসএসসিতে নিয়োগ দুর্নীতি এবং গরু পাচার মামলায় একের পর এক দলীয় নেতাদের সিবিআইয়ের তলবকে কেন্দ্রের ‘তুঘলকি কান্ড’ বলে আখ্যা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি বলেন, ‘কেন্দ্র সরকার গম বন্ধ করে দিয়েছে । ৫ মাস ধরে একশ দিনের টাকা দিচ্ছে না । যেহেতু ওরা জিততে পারেনি,আমাকে সরাতে পারেনি তাই কিছু সেন্ট্রাল এজেন্সি দিয়ে তুঘলকি কান্ড চালাচ্ছে বাংলায় । বিজেপি বাংলার নামে বদনাম করে বেড়াচ্ছে ৷ লক্ষ্মীর ভান্ডার দেখে ওদের হিংসা হয় ।’
মুখ্যমন্ত্রী বলেন,’আগে চিরকূট দিয়ে চাকরি হত । একটা চিরকূট দিয়ে ট্রান্সফার করত। সিপিএমের ৩৪ বছর আমি অনেক খোঁজ নিয়েছি। আস্তে আস্তে চ্যাপ্টার ওপেন করব। ভদ্রতার খাতিরে করিনি ।’ এদিন এলাকার পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিকে আগামী বর্ষার আগে সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী ।।