এইদিন ওয়েবডেস্ক,বারাণসী,১৬ মে : ভিডিওগ্রাফি জরিপের অন্তিম দিনে চমকপ্রদ রহস্যের উন্মোচন হল উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর বিতর্কিত জ্ঞানবাপী কাঠামো থেকে ৷ সুত্রের খবর,জ্ঞানবাপী কাঠামোয় এমন একটি শিবলিঙ্গ পাওয়া গেছে, যা মূল্যবান পান্না পাথর দিয়ে তৈরি । কমিশনের অনুমান, সবুজ রঙের এই শিবলিঙ্গটি আকবরের অর্থমন্ত্রী টোডরমল ১৫৮৫ সালে বেনারসের পণ্ডিত নারায়ণ ভট্টের সাথে স্থাপন করেছিলেন । পরবর্তী কালে আওরঙ্গজেবের সময় শিবলিঙ্গটির একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত করে দেওয়া হয়েছিল ।
জানা গেছে,এই শিবলিঙ্গের আয়তন প্রায় ২ মিটার। এটি দেখতে বেশ আকর্ষণীয়। শিবলিঙ্গটি কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে স্থাপিত নন্দীর সামনে জ্ঞানবাপীর অংশে রয়েছে । পুরনো নন্দী মহারাজের সামনে মসজিদের ঠিক মাঝখানে সমাহিত রয়েছে বিশালাকার এই শিবলিঙ্গটি । শ্রীকাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত ডক্টর তিওয়ারি বলেন, ‘আমার পূর্ব পুরুষ পণ্ডিত নারায়ণ ভট্ট পান্না পাথরের ওই শিবলিঙ্গ স্থাপন করেছিলেন ।’ পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘বিতর্কিত জ্ঞানবাপী কাঠামোর বেসমেন্টকে লোকেরা যা বলছে তা আসলে ওটি মন্দির মণ্ডপম । এগুলোকে বেসমেন্ট না বলে মণ্ডপ বলা হলে ভালো হত ।’
প্রসঙ্গত,রেভারেন্ড এমএ শেরিং কর্তৃক ১৮৬৮ সালে লেখা ‘দ্য সেক্রেড সিটি অফ হিন্দু’ বইতে জ্ঞানবাপী কাঠামোর চার কোণায় চারটি মণ্ডপ বা মন্দিরের কথা উল্লেখ রয়েছে। তাদের নাম হল জ্ঞান মন্ডপম, শ্রিংগার মন্ডপম, ঐশ্বর্য মন্ডপম এবং মুক্তি মন্ডপম ।
বিদেশি লেখক আলতেকার (Altecar) জানিয়েছিলেন, চারটি মণ্ডপের আয়তন ১৬/১৬ ফুট করে এবং উচ্চতা ১২৮ ফুট । নব্বইয়ের দশকে বারাণসীর ডিএম সৌরভ চন্দ্র শ্রীবাস্তবের নেতৃত্বে ওই বেসমেন্ট বা মণ্ডপে তালা লাগানো হয়েছিল । সেই সময় ভিতরে ফটোগ্রাফিও করা হয় । তখন প্রাচীন নন্দীর ঠিক সামনে একটি শিবলিঙ্গ দেখা গিয়েছিল বলে জানা গেছে ।।