প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৬ মে : তেজস্ক্রিয় পদার্থ বিক্রি করতে এসে এসটিএফ ও পুলিশের হাতে ধরা পড়লো তিন দুস্কৃতি । ধৃতরা হল আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়, নিমাই দাস ও পার্থ পাল।তাঁরা পূর্ব বর্ধমানের রায়না, বর্ধমান শহর ও হুগলি জেলার বাসিন্দা।পুলিশ জানিয়েছে তেজস্ক্রিয় পদার্থ বিক্রি করার জন্য রবিবার রাতে এই তিন দুস্কৃতি শহর বর্ধমানের পারবীরহাটা এলাকায় জড়ো হয়। গোপন সূত্রে সেই খবর আগাম পৌছে যায় রাজ্য পুলিশের স্পেশাল স্টাক ফোর্সের (এটিএফ) কাছে । বর্ধমান থানার পুলিশের সাহায্য নিয়ে এটিএফ রাতেই পারবীরসাটায় অভিযান চালিয়ে তিন জনকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। তাঁদের কাছ থেকে একটি পদার্থ উদ্ধার হয়। সেটি আদৌ কোনো তেজস্ক্রিয় পদার্থ কিনা তা যাচাই করে দেখা হচ্ছে ।
ডিএসপি হেডকোয়ার্টার অতনু ঘোষাল জানান, এসটিএফের কাছে খবর ছিল একটি দুস্কৃতি দল বর্ধমানের এক ব্যক্তিকে ৫০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তেজস্ক্রিয় পদার্থ বিক্রি করার উদ্দ্যেশ্যে জড়ো হয়েছে। এসটিএফ বর্ধমান থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালিয়ে ওই তিন জনকে ধরে ফেলে ।ধৃতদের কাছ থেকে ৯৪৩ গ্রাম ওজনের একটি ধাতু উদ্ধার হয়েছে । ধাতুটি আদৌ তেজস্ক্রিয় পদার্থ কিনা তা নিশ্চিৎ হবার জন্যে সেটিকে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে । পুলিশের অনুমান ধৃত দুস্কৃতিরা কোন প্রতারণা চক্রের সঙ্গেও যুক্ত থাকতে পারে। ডিএসপি হেডকোয়ার্টার অতনু ঘোষাল আরো বলেন,তেজস্ক্রিয় পদার্থের কথা বলে ধৃতরা লোক ঠকানোর কোন পরিকল্পনাও করে থাকতে পারে।পদার্থটির পরীক্ষা রিপোর্ট হাতে পাওয়া গেলেই এর রহস্য পরিস্কার হয়ে যাবে ।
সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ সোমবার তিন ধৃতকে পেশ করে বর্ধমান আদালতে । তদন্তের প্রয়োজনে ধৃতদের ১৪ দিন পুলিশি হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানান তদন্তকারী অফিসার । বিচারক ধৃতদের সাত দিন পুলিশ হেপাজত মঞ্জুর করেছেন । হেপাজতে নেওয়া দুস্কৃতিদের জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে পুলিশ ওই পদার্থটিসহ তাঁদের কারবারের রহস্য উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে ।।