এইদিন ওয়েবডেস্ক,মির্জাপুর(উত্তর প্রদেশ),১৫ মে : সিনেমার কাহিনীকেও হার মানিয়ে দেওয়ার মত একটা ঘটনা ঘটেছে উত্তর প্রদেশের মির্জাপুর জেলায় । এক তরুনীর বিয়ের অনুষ্ঠানে বরযাত্রীদের বিনোদনের জন্য অর্কেস্ট্রার আয়োজন করা হয়েছিল । সেই অনুষ্ঠানে মহিলাদের নাচ দেখছিলেন এক যুবক । নর্তকীদের মধ্যে একজনের নাচ খুব পছন্দ হয়ে যায় তাঁর । তাই পুরষ্কার বাবাদ কিছু টাকা দেওয়ার জন্য ছোটেন স্টেজের দিকে । কিন্তু কাছে গিয়ে নর্তকীর মুখ দেখতেই কার্যত ভিরমি খাওয়ার জোগাড় । কারন নর্তকী আর কেউ নন বরঞ্চ তাঁর স্ত্রী । তবুও কিছুটা দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে ছিলেন ওই যুবক । কিন্তু তার সব ভুল ভাঙিয়ে দেয় নর্তকীর সঙ্গে থাকা একটি শিশু । কারন ওই শিশুটি আদপে ওই যুবকেরই সন্তান । এরপর যুবক তাঁর স্ত্রী সন্তানকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক কাকুতি মিনতে করেন । পুলিশের দ্বারস্থও হন । কিন্তু কিছুতেই রাজি করানো যায়নি ওই মহিলাকে । মহিলা সাফ জানিয়ে দেয় ‘মদ্যপ’ স্বামীর সঙ্গে তিনি আর ঘর করবেন না । ফলে বিফল মনোরথে বাড়ি ফিরে আসতে হয় যুবককে ।
জানা গেছে,যুবকের বাড়ি মির্জাপুর জেলার রাজগড় থানার নদীহার গ্রামে । বেশ কয়েক বছর আগে বিয়ে হয় যুবকের । তাঁদের দুই সন্তানও হয় । কিন্তু ওই যুবকের মদের নেশা ছিল । রোজ রাতে নেশা করে বাড়ি ফিরে অশান্তি করত । মারধর করত স্ত্রীকে । এদিকে রোজ রোজ স্বামীর এই নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বছর তিনেক আগে দুই সন্তানকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি ছাড়েন বধু । তাঁর বাপের বাড়ির অবস্থাও বিশেষ ভালো নয় । তাই সন্তানদের নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘোরাঘুরি করছিলেন । চেয়েচিন্তে তিন জনের পেট চালাতেন । কিন্তু যুবক তার স্ত্রী সন্তানদের কোনো খোঁজখবর নেয়নি । ইতিমধ্যে অর্কেস্ট্রা দলের এক মহিলার সঙ্গে পরিচয় হয় যুবকের স্ত্রীর । শেষে মহিলার পরামর্শে অর্কেস্ট্রায় নর্তকীর কাজ শুরু করেন দুই সন্তানের জননী ওই গৃহবধূ ।
বৃহস্পতিবার শ্বশুরবাড়ি নদীহার গ্রামে বিয়ের অনুষ্ঠানে নাচতে এসেছিলেন ওই বধু । আর তখনই তাঁর স্বামীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়ে যায় । রাজগড় ফাঁড়ির ইনচার্জ অবধেশ কুমার সিং বলেন,’আমরা স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মিটমাট করার চেষ্টা করেছিলাম । কিন্তু স্ত্রী কিছুতেই স্বামীর সঙ্গে ফিরে যেতে রাজি হননি ।’।