প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৩ মে : হাতে সিঁদুরের কৌটো নিয়ে থাকা প্রেমিকের জুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হল প্রেমিকার বাড়ির কাছ থেকে । তা নিয়ে শুক্রবার ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের নারিচা গ্রামে।খবর পেয়ে খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে কার্তিক দলুই(২২) নামে ওই যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে । পুলিশ জেনেছে মৃত ওই যুবকের বাড়ি বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের গোঁসাই গ্ৰামে। ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ এদিনই যুবকের মৃতদেহ পাঠায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ মর্গে।তদন্তে নেমে পুলিশ যুবকের মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখছে ।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে , এক বছরের বেশি সময় আগে থেকে নারিচা গ্রাম নিবাসী এক কিশোরীর সঙ্গে পাত্রসায়ারের কার্তিক দলুইয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে । নারিচা গ্রামে কার্তিকের মামার বাড়ি।মৃতের আত্মীয় সুজিত খাড়া এদিন বলেন,কয়েকদিন আগে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজে যোগ দেয় কার্তিক দলুই।প্রেমাকার সঙ্গে সে ফোনে যোগাযোগ রাখতো। প্রেমিকার টানে বৃহস্পতিবার কার্তিক দুর্গাপুরের কাজের জায়গা থেকে বেরিয়ে পড়ে নারিচায় চলে যায়। রাতে বাড়ির লোকজন ফোনে কার্তিকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলেও কোনো যোগাযোগ হয় না।এর এদিন সকালে প্রেমিকার বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে প্রেমিকার দাদুর বাড়ির সামনে একটি নারকেল গাছে গলায় নাইলন দড়িতে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় কার্তিকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় । ওই সময় তাঁর হাতে ছিল একটি সিঁদুরের কৌটো আর কানে লাগানো ছিল হেড ফোন । দেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয় জামা কাপড়ের ব্যাগ।পুলিশ যুবকের দেহ উদ্ধার করে খণ্ডঘোষ ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যায়।সেখানে চিকিৎসক যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন ।
মৃতের পরিবার সদস্যরা মনেকরছেন প্রেমিকাকে বিয়ে করার উদ্দেশ্য নিয়েই কার্তিক বৃহস্পতিবার নারিচা গ্রামে এসেছিল । কিন্তুকোন কারণে সেই উদ্দেশ্য সিদ্ধি না হওয়ায় হতাশায় সে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটিয়ে বসে।এদিকে যুবকের মৃত্যুর খবর
শুক্রবার সকালে এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই বেপাত্তা হয়ে গিয়েছে প্রেমিকা ও তাঁর পরিবারের লোকজন।সেই কারণে যুবকের মৃত্যুর ঘটনা আত্মহত্যা,নাকি খুন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে যুবকের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ।।