🌼 “আত্মা অনন্ত আনন্দস্বরপ, উহা লিঙ্গবর্জিত । আত্মাতে নরনারী-ভেদ নাই। দেহ সম্বন্ধেই নরনারী ভেদ । অতএব আত্মাতে স্ত্রী-পুরুষ ভেদ আরােপ করা ভ্ৰমমাত্র—শরীর সম্বন্ধেই উহা সত্য। আত্মার সম্বন্ধে কোনরুপ বয়সও নিদিষ্ট হইতে পারে না, সেই প্রাচীন পুরুষে সর্বদাই একরুপ ।
এই আত্মা কিরপে সংসারে বন্ধ হইলেন? একমাত্র আমাদের শাস্ত্রই ঐ প্রশ্নের উত্তর দিয়া থাকেন। অজ্ঞানই বন্ধনের কারণ। আমরা অজ্ঞানেই বদ্ধ হইয়াছি—জ্ঞাননাদয়েই অজ্ঞানের নাশ হইবে, জ্ঞানই আমাদিগকে এই অজ্ঞানের পারে লইয়া যাইবে। এই জ্ঞানলাভের উপায় কি? ভক্তিপূবক ঈশ্বরের উপাসনা এবং ভগবানের মন্দিরজ্ঞানে সব ভুতে প্রেম দ্বারা সেই জ্ঞানলাভ হয় । ঈশ্বরে পরানুরক্তিবলে জ্ঞানের উদয় হইবে, অজ্ঞান দরীভুত হইবে, সকল বন্ধন টুটিয়া যাইবে এবং আত্মা মুক্তিলাভ করিবেন ।”