এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১০ এপ্রিল : বাংলা একাডেমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাহিত্য পুরস্কার দিয়েছে । মমতার ‘কবিতা বিতান’ বইয়ের জন্য তাঁকে পশ্চিমবঙ্গ বাংলা অ্যাকাডেমির বিশেষ পুরষ্কার দেওয়া হয়েছে । আর তারপর থেকেই কলকাতা বাংলা একাডেমিকে তীব্র কটাক্ষ করছে বিভিন্ন মহল । বিশিষ্ট লেখিকা তসলিমা নাসরিন তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘কলকাতার বাংলা একাডেমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাহিত্য পুরস্কার দিয়েছে। কলকাতা আর্ট একাডেমি তাকে সেরা শিল্পীর পুরস্কার দেবে। কলকাতার লেখক, শিল্পী, বুদ্ধিজীবী সবাই বিক্রি হয়ে গেছে। তাদের মর্যাদা, সততা এবং ব্যক্তিত্ব কিছুটা অর্থ এবং ক্ষমতার জন্য চলে গেছে ।’
রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে মুখ্যমন্ত্রীর ‘এপাং ওপাং ঝপাৎ’ এবং ‘হামবা’ কবিতা পোস্ট করে লিখেছেন, ‘সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় আজ আমাদের মধ্যে উপস্থিত থাকলে হয়তো লিখতেন,“বাংলার সাহিত্য সমাজ, তুমি চেতনা হারাইয়াছ?”পশ্চিমবঙ্গ বাংলা অ্যাকাদেমির পুরস্কার বাংলার বিশিষ্ট সাহিত্যিকদের সঙ্গে পরামর্শ করে মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া হয়েছে তাঁর ‘কবিতা বিতান’ কাব্যগ্রন্থের জন্য।
বাংলা আকাদেমির চেয়ারম্যান ও মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্যের সঙ্গে নিরলস কাজ করার পরও যাঁরা সারস্বত সাধনা, সাহিত্য সাধনা করে চলেছেন তাঁদের এই পুরস্কার অর্পণ করা হবে। সমস্ত শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক জানিয়েছেন প্রথম বছর এই পুরস্কার মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া হোক।”
ইতিহাস যখন একটি সভ্যতার বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন করে কয়েক শতাব্দী পরে, তখন তাতে উল্লেখ থাকে না কোন ব্যবসায়ী, কেরানি কত বড় অবদান রেখেছিলেন। আতস কাঁচের তলায় দেখা হয় কবি, সাহিত্যিক, ভাস্কর, চিত্রকর, শিল্পীদের কাজ।
বাঙালি তো এই জায়গায় শ্রেষ্ঠ। শিল্প কলা সংস্কৃতিতে মুনশিয়ানাই তো আমাদের পরিচয় বিশ্বের কাছে। সেই অহংবোধ কিনা রবীন্দ্র জয়ন্তীর দিনে ধূলিসাৎ হলো। বাঙালির সত্ত্বা আজ লুণ্ঠিত !
ধিক্কার জানাই তাদের যারা এই প্রক্রিয়ায় জড়িত
চাটুকারিতা কোন স্তরে পৌঁছালে এই ছড়া/কবিতার স্রষ্টাকে পুরস্কৃত করা হয় ।’
যদিও মঞ্চে উপস্থিত থাকলে পুরস্কার নিজের হাতে গ্রহণ করেননি মুখ্যমন্ত্রী । পরিবর্তে মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের ঘোষণার পর পুরষ্কার নেওয়ার জন্য তিনি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে নির্দেশ দেন ।।