প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০৯ মে : মনীষীদের নামেই পরিচিতি পেয়ে আসছে বাংলার রাজধানী শহর কলকাতার একাধিক রাজপথ। তা নিয়ে কলকাতাবাসীর গর্বের অন্ত নেই ।এবার শহর ছাড়িয়ে গ্রামীণ এলাকার সড়ক পথের নামকরণেও জায়গা করে নিলেন বাংলার মনীষীরাই ।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের নামে সোমবার বাইপাশ রোডের উদ্বেধন হল পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে । শুধু মনীষীদের নাম দিয়েই দায় সারেননি জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির কর্তারা । সুসজ্জিত বেদী তৈরি করে বাইপাশ রোডের এক প্রান্তে কাজী নজরুল ইসলাম আর অপর প্রান্তে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পূর্ণাবয়ব মূর্তি বসানো হয়েছে। সোমবার ২৫শে বৈশাখ কবিগুরুর জন্মদিবসের দিনে তাঁর মূর্তিটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হল।আগামী ২৪ মে বিদ্রোহী কবীর জন্মদিবসের দিন তাঁর মূর্তিটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে । কলকাতা শহরের অনুকরণে সড়ক পথের নামকরণ হওয়ায় খুশি জামালপুরবাসী ।
জেলার মেমারি থেকে ৪০ কিমি পথ পেরিয়ে পৌছানো যায় হুগলীর তারকেশ্বরে । ১৫ নম্বর এই রাজ্য সড়কে জামালপুরের পুলমাথা এলাকা থেকে বাঁক ঘুরে হাফ কিমির মতো পথ গেলেই পড়ে দোবাঁধি এলাকা।এই দোবাঁধি এলাকাতাতেই একই রাস্তা দু’ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে ।একটি রাস্তা যাচ্ছে দামোদরের উপরে থাকা হরেকৃষ্ণ কোঙার সেতুতে ওঠার জন্য ।অপর ভাগটি দিয়ে সোজা তারকেশ্বর যাওয়া যায় ।জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতি নিজস্ব তহবিল থেকে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে এই দোবাঁধি এলাকাতে প্রতিস্থাপন করেছে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি পূর্ণাবয়ব মূর্তি। আর পুলমাথা এলাকায় কাজী নজরুল ইসলামের পূর্ণাবয়ব মূর্তি বসানো হয়েছে।পাশাপাশি সমিতির তরফে আনুমানিক আধ কিমি-র এই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পথের নাম করণ করা হয়েছে রবীন্দ্র-নজরুল বাইপাশ ।
এই বিষয়ে জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খাঁন বলেন,“এলাকার উন্নয়নে জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতি অনেক কাজ করেছে ।তার মধ্যে অন্যতম হল বাইপাস রোডের দুই প্রান্তের এক প্রান্তে রবীন্দ্রনাথ ও অন্য প্রান্তে কাজী নজরুল ইসলামের পূর্ণাবয়ব মূর্তি বসিয়ে সড়ক পথে একটা পরিচিতি দেওয়া।কলকাতা কিংবা অন্য জেলার যে সব মানুষজন এখাকার গ্রামীন এলাকার এই পথ ধরে যাবেন তখন শহরের ছোঁয়া খুঁজে পাবেন ।’ পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ভূতনাথ মালিক বলেন,’সদিচ্ছা থাকলে গ্রামকেও শহরের আদলে সাজানো যায়। আমরা সেই লক্ষেই যেমন এগিয়ে যেতে চাইছি । তেমনি চাইছি বাংলার বিশিষ্ঠ ব্যক্তি ও মনীষীদের মর্যাদা দিয়ে তাঁদের জীবন ও দর্শনকে মানুষের কাছে তুলে ধরতে।তাই পঞ্চায়েত সমিতি এমন কর্মকাণ্ডে সামিল হয়েছে”। বিডিও (জামালপুর)শুভঙ্কর মজুমদার বলেন,’দুই বরেণ্য মানুষের পরিচয়ে বাইপাশ রোডটি পরিচিতি পাবে এটাই সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় ।’।