দিব্যেন্দু রায়,মঙ্গলকোট(পূর্ব বর্ধমান),০৫ মে : বীরভূম থেকে জেসিবি মেশিন এনে পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটের অজয় নদ থেকে অবাধে বালি লুটতরাজ করে পালিয়েছিল রেলের এক চতুর্থ শ্রেনীর কর্মী শেখ জিয়ারুন ওরফে শেখ জিয়ারুল এবং তাঁর সহদর ভাই শেখ জামু ওরফে শেখ জামারুল । বীরভূম জেলার নানুর থানার নতুন ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বালি লুন্ঠনকারী দুই ভাইকে অবশেষে পাকড়াও করল মঙ্গলকোট থানার পুলিশ । একজন রেলকর্মীর এহেন অবৈধ কারবারে জড়িয়ে পড়ায় বিস্মিত এলাকাবাসী ।
প্রসঙ্গত,বীরভূমের বালি মাফিয়াদের অত্যাচারে কার্যত অতিষ্ট মঙ্গলকোটের অজয় নদের বালি ঘাটের ইজারাদারেরা । ইজারাদারদের নাকের ডগায় ইজারা পাওয়া অংশ থেকে বালি তুলে চম্পট দেয় বীরভূমের বালি মাফিয়ারা । মঙ্গলকোটের কল্যানপুর মৌজার কোটাল ঘোষ এলাকা, মঙ্গলকোটে পশ্চিম নবগ্রাম মৌজা বীরভূম জেলার ঠিক পাশে হওয়ায় অবাধে বালি লুটতরাজ চলে । বালি মাফিয়াদের হুমকির ভয়ে কেউ টুঁ শব্দ পর্যন্ত করতে পারে না । কোটাল ঘোষ এলাকার পাশে বীরভূমের নানুর এলাকা । অন্যদিকে পশ্চিম নবগ্রাম মৌজা ও বীরভূমের মহাদেবপুর এলাকার মাঝামাঝি বয়ে গেছে অজয় নদ । নানুর আর মহাদেবপুরে বালি মাফিয়াদের রীতিমতো বড়সড় চক্র গড়ে উঠেছে । তাদের দৌরাত্ম্যে বালিঘাটের ইজারাদারদের তো ক্ষতি হচ্ছেই,তার পাশাপাশি সরকারি রাজস্বেরও প্রচুর ক্ষতি হচ্ছে ।
জানা গেছে,গত ২৩ এপ্রিল কল্যানপুর মৌজায় ওই বালির ঘাট থেকে বালি লুটতরাজ চালাচ্ছিল দুষ্কৃতীদল । স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে সেখানে হানা দেয় মঙ্গলকোট থানার পুলিশ । যদিও পুলিশকে দেখে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় । কিন্তু তদন্তে নেমে রেলকর্মী কর্মী জিয়ারুন ওরফে শেখ জিয়ারুল ও তার ভাইয়ের নাম জানতে পারে পুলিশ । শেষ পর্যন্ত মঙ্গলকোট থানার পুলিশ নানুর থানার নতুন ডাঙ্গাপাড়া থেকে তাদের পাকড়াও করে আনে । বৃহস্পতিবার ধৃতদের কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে জিয়ারুলকে জামিনে মুক্ত দেওয়া হলেও শেখ জামারুলকে ১৪ দিনের জন্য বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয় ।।