প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০৫ মে : বৃহস্পতিবার সকালে কাটোয়া-ব্যান্ডেল শাখায় দাঁইহাট বেলতলা ফটকে রেললাইনের কাছে বড়সড় ধ্বস নামে । সেই সময় যাচ্ছিল আপ হাওড়া-কাটোয়া একটি লোকাল ট্রেন । সৌভাগ্যবশত ধ্বসের বিষয়টি নজরে পড়ে যায় রেলকর্মীদের । তাঁরা লাল পতাকা দেখিয়ে ট্রেনটিকে দাঁড় করান । ফলে বড়সড় দূর্ঘটনার হাত থেকে রেহাই পেয়ে যায় ওই যাত্রীবাহী ট্রেনটি । ধ্বসের জেরে হাওড়া-কাটোয়া শাখায় দু’ঘন্টার অধিক সময় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয় । পরে মাটির বস্তা দিয়ে ধ্বস মেরামতির পরে কশান দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।বিপদ এড়াতে ধ্বস কবলিত জায়গার লাইনে এখন ধীর গতিতে ট্রেন চালানো হচ্ছে ।
কাটোয়ার রেল আধিকারিকদের কথায় জানা গিয়েছে ,এদিন সকালে রেলের পি ডাব্লু আইয়ের কর্মীদের দাঁইহাট বেলতলা এলাকায় লাইনে ধ্বস নামার বিষয়টি প্রথম নজরে আসে । আর ঠিক সেই সময় আসছিল ওই লোকাল ট্রেনটি । ট্রেনটিকে দাঁড় করিয়ে ততক্ষণাৎ পিডব্লুআইয়ের কর্মীরা বিষয়টি কাটোয়ার রেল আধিকারিকদের জানান। এই খবর পাওয়া মাত্রই কাটোয়া- ব্যান্ডেল-হাওড়া লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ করিয়ে দিয়ে আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তারপরেই মাটির বস্তা দিয়ে জোর কদমে শুরু হয় ধস মেরামতির কাজ।
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন,বেলতলা ফটকের কাছে আন্ডার পাস নির্মানের জন্য মাটি কাটা হয়েছে । এদিকে কালবৈশাখীর বৃষ্টিপাতের কারনে মাটি আলগা হয়ে গেছে । আর সেই কারনেই রেললাইনের পাশে ধস নেমেছে বলে মনে করা হচ্ছে ।’ কিন্তু ধস ঠেকাতে গাছের মোটা ডালের খুঁটি পোঁতা সত্ত্বেও কিভাবে ধস নামলো ? তিনি জানিয়েছেন,বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে ।
জানা গেছে,সম্প্রতি কাটোয়া ও কালনার মধ্যে পাঁচটি আন্ডার পাস নির্মানের কাজ শুরু হয়েছে । একএকটি আন্ডার পাস তৈরির জন্য প্রায় ৩ কোটি টাকা করে বরাদ্দ করেছে রেল দপ্তর । তার মধ্যে দাঁইহাট বেলতলা ফটকের কাছে একটি আণ্ডারপাস তৈরির কাজ চলছে । এই কারনে রেললাইনের দু’ধারে মাটি কাটা হয়েছে । এদিকে গত মঙ্গলবার ভাল বৃষ্টিপাত হয় । তার জেরে আপ লাইনের পাশের মাটি নরম হয়ে গিয়ে ধ্বসের সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে । রেল আধিকািক মুকেশ কামার জানান,মেরামতির জন্য ঘন্টা দুয়েক ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার পর বেলা সাড়ে ৯ টা থেকে কাটোয়া ব্যাণ্ডেল-হাওড়া রেলপথে ‘কশান’ দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। ধীর গতিতে ট্রেন চালানো হচ্ছে ।।